পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ২৫ জন। সে হিসাবে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই ঢাকা বিভাগে। একই সময়ে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৯ জনের শরীরে। যা আগের দিন ছিল ৯ হাজার ৫২ জন। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক এবং কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর একদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৬৮টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫৫টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬৫৬টি। এসময় এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন বুথ থেকে ৩৪ হাজার ৭৬৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নতুন ও পুরনো নমুনা মিলে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৪টি। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৮টিতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৭টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪১ লাখ ২ হাজার ২৬১টি। এর একদিন আগে দেশে ৯ হাজার ৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৮ হাজার ৩৫৯। এ নিয়ে দেশে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর একদিন আগে এই হার ছিল ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সে হিসেবে এই হার বেড়েছে। একই সময়ে সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একদিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৬ হাজার ২৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ১৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৬ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, বাকি ১৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৭ জন সরকারি ও ৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এসময় প্রায় ৩ গুণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ৩৬ জনের মধ্যে ২৫ জনই ঢাকা বিভাগের। এ ছাড়া দুইজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগে, একজন খুলনা বিভাগে, সিলেটে একজন, রংপুরে দুইজন, ময়মনসিংহে দুইজন মারা গেছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আট জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। এ ছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী সাতজন মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।