পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘চেয়ার অফ দ্য হাউস কমিটি’ গ্রেগরি ডাব্লিউ মিকস বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে একথা বলেন মিকস।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর মিকসের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়ে যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে শুক্রবার এ বিবৃতি দেন মিকস।
বিবৃতিতে মিকস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি নিষেধাজ্ঞাগুলো সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে যখন তার পেছনে কোন লক্ষ্য থাকে। তবে বাংলাদেশের ওপর পাইকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের এখনই কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে, আমি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্টের অধীনে বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর বেশ কিছু বর্তমান ও সাবেক সদস্যের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে তা নিশ্চিত করাসহ দেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য কাজ করতে উন্মুখ।’
উল্লেখ্য, গ্রেগরি মিকস পেশায় একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন প্রতিনিধি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের যাত্রা (২০ জানুয়ারি ২০২১) এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মিকসের যাত্রা (৩ জানুয়ারি) প্রায় একই সময়ে শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য মিকস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত।
গত বছরের জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের সম্মানে হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত নৈশভোজে আমন্ত্রিত ২৫ জন অতিথির সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনদের সাথে মিকস জায়গা করে নিয়েছিলেন বলে নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। এছাড়া বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রচারে নিজ দেশের হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন মিকস। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় মিকসকে ক্লিনটনদের (বিল ও হিলারি) ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।