Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খসে পড়ছে রাজবাড়ীর মুজিব বিল্ডিংয়ের কার্নিস ও পলেস্তরা

ঝুকিপূর্ন ভবনে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৪০ পিএম

রাজবাড়ী জেলা শহরের প্রানকেন্দ্রে ও এক নম্বর রেলগেট পার হওয়ার পরেই মুজিব বিল্ডিংটির অবস্থান। এই ভবন মালিক পক্ষের দাবী অনুযায়ী ভবনটি ১৯৬৭ সালে তৈরি করা হয়েছে। যা এখন আর ব্যাবহার অনুপযোগি । এ ব্যাপারে ওই ভবনটি ভেঙ্গে নতুন করে একটি ভবন তৈরির ব্যপারেও মালিকপক্ষ ও ভারাটিয়াদের কোন্দলের কারনে ঝুকি নিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অন্তত ৮ টি দোকান।
সরেজমিনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় গিয়ে দেখাযায়, ভবনটির দোতালার সবগুলো রুমের দরজা জানালা ভেঙ্গে পরেছে এমনটি উপরের ছাদও ভেঙ্গে পরিস্কার আকাশ দেখা যাচ্ছে।
নীচে জরো হয়েছে অন্তত ৫০ জন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। এ সময় পথচারীরা জানান মুজিব বিল্ডিং এর দোতালার কার্নিস ভেঙ্গে পথচারীদের গায়ের উপরে পরেছে। যে কারনেই এই জটলা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভবনটি মালিক পক্ষ।
এ সময় ভবনটি মালিক, জালালউদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল কাদের, মোঃ মনির হোসেন, দিদার হোসেন বলেন, রাজবাড়ী জেলা শহরের এই বিল্ডিংটি ১৯৬৭ সালে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনটি পরিত্যক্ষ ঘোষনা করে সাইন বোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে। পুরো ভবনটি ঝুকিপূর্ন হওয়ায় এখন আর ব্যাবহার উপযোগি নেই। মাঝে মধ্যেই পথচারী ও ব্যাবসায়ীদের গায়ের উপর পলেস্তারা ভেঙ্গে পরে। এতে আমরা মারাত্বকভাবে চিন্তিত। বার বার ভারাটিয়াদের নোটিশ করার পরও তাদের সরানো যাচ্ছে না। তারা সরে গেলে আমরা এখানে নতুন একটি ভবন তৈরি করতে পারবো। এখন যে অবস্থা আছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি প্রশ্ন বেখে বলে বড় ধরনে দুর্ঘটনা বা রানা প্লাজার মতো ঘটনা ঘটলে আমরা এর দায় নিতে পারবো না।
এদিকে মুজিব বিল্ডিং এর ব্যবসায়ী ও শামিম লাইব্রেরীর স্বত্তাধীকারী সৈয়দ মোসাদ্দেক আলী সাগর বলেন, আমরা এই ভবনে ৫০ থেকে ৬০ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছি। এখন মালিক পক্ষ আমাদের সাথে আলোচনা না করেন চলে যেতে বলছে। এমনকি আদালতে তারা একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছে। যে কারনে আমরা রাজবাড়ীর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিজের সভাপতি কাজী ইরাদত আলীর কাছে গিয়েছিলাম তিনি ব্যবসায়ী ও মালিকপক্ষকে ডেকে একটি সমাধান করে দিবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ