Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নোয়াখালীর সূবর্ণচরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা,আহত ২০

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৩৮ পিএম

সুবর্ণচরে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বিএসসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুকের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থক আহত হয় এবং তাদের ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের চর হাসান ভূঁইয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর ১২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১নং চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক তাঁর আনারস প্রতিকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ, কর্মিদের উপর হামলা করে আহত করা,প্রচার কাজে বাধা সৃষ্টি করা ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেওয়ার প্রতিবাদে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চরজব্বর ইউনিয়নের ছ্যাইয়াখালী বাজারে সংবাদ সম্মেল করে। সংবাদ সম্মেলন শেষে গাড়ি বহর নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি বহরটি একই ইউনিয়নের চরহাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে এসে পৌঁছলে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সমর্থক মঞ্জু, আজাদ, নবী মেম্বারের যোগসাজশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা পিটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থককে আহত করে এবং ২০-৩০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার গাড়ি বহরে আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার ১৫০জন অনুসারীকে পিটিয়ে আহত করে এবং ২০০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এরপর আমার ৩জন সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে গুম করে নিয়ে যায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১নং চর জব্বর ইউনিয়নে নেীকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা আনারস প্রতিকের প্রার্থীর সাজানো নাটক। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সমর্থক জড়িত নেই। আমি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি মোটরসাইকেলে কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী শার্ট উঠিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা উত্তোজিত হয়।

চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ৫৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আহত হয়েছে এবং কতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে তার প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ