Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: পুলিশের মামলায় আসামি ৮০০, পুুরুষশূন্য এলাকা!

যমুনায় বালু ঘাট দখল ও আধিপত্য বিন্তার

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:২০ পিএম

আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ বালুর ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার ও নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ গ্রুপের মুখোমুখি দফায় দাফায় সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন আহতও হয়।সংঘর্ষের ঘটনায় ভূঞাপুর থানার এস.আই মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাসুদুল হক মাসুদের গ্রুপের নুর আলম ম-ল নুহুকে এক নম্বর ও অপর ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার গ্রুপের আব্দুল করিম মেম্বারকে দুই নম্বর আসামি করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০০-৮০০ জনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওই দিন রাতেই মামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় নিকরাইল ইউনিয়নের পুনবার্সন, সারপলশিয়া, পলশিয়া, সিরাজকান্দি, ন্যাংড়া বাজার ও পাটিতাপাড়াসহ ৮টি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। এতে করে দিনের বেলায় দু’চারজনের দেখা মিললেও রাতের বেলায় কেউ বাড়িতে থাকছে না। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, বালু ঘাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিকরাইলে সাবেক ও বর্তমান চেয়রাম্যানের লোকজনে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ৬ থেকে ৭ জন পুলিশ আহত হয়। এছাড়াও সংঘর্ষের সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আশা করছি দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে। বালু ঘাট ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বাগানবাড়ী নামক এলাকায় বালু ঘাট দখল ও আধিপত্য নিয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এতে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। উভয়পক্ষের আহত হয় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। এরপর থেকেই এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ