Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে একটি ভাঙা কালভার্টের জন্য লাখো মানুষের দুর্ভোগ

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:৪৮ পিএম

সুনামগঞ্জের ছাতকে জালালপুর থেকে দোলারবাজার হয়ে লামা-রসুলগঞ্জ পর্যন্ত একটি সড়ক। লামা-রসুলগঞ্জ শেষে জগন্নাথপুর উপজেলা সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জালালপুর নামক ওই সড়কের প্রবেশ পথে রত্না নদীর উপর একটি কালভার্ট রয়েছে। এটি ভেঙ্গে নতূন কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে ভালভার্ট ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। এটির কাজ পেয়েছে মেসার্স আকবর আলী। কিন্তু যানচলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা নির্মাণ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনগড়া ভাবে ভালভার্ট ভেঙ্গে মানুষের চলাচলে মারাত্বক ব্যাঘাতের সৃষ্টি করেছে।

বৃষ্টি নামা শুরু হলে রত্না নদী নামের ওই খাল পাড়ি দিয়ে মানুষ পায়ে হেটে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পুহাতে হবে। অসুস্থ একজন রোগি নিয়ে ওই পথে চলাচল করা সম্ভব হবে না। এতে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

বিকল্প রাস্তা না করায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এমন আচরণে তারা ক্ষুব্ধ। তাই তারা কালভার্ট ভাঙ্গা বন্ধ করে আগে মানুষ চলাচলের বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেয়ার দাবী জানায় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কাজের ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার তাতে কোন সাড়া দেন নি।

এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবুল মনসুর মিয়া জানান, জালালপুর থেকে প্রায় ৬কোটি টাকা ব্যয়ে আরসিসিসহ ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ পায় মেসার্স আকবর আলী নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, জালালপুরের কালভার্ট ভাঙ্গার আগে বিকল্প রাস্তা তৈরি করার কথা রয়েছে। যাতে মোটরসাইকেল, রিকশাসহ ছোট যানবাহনে মানুষ পারাপার হতে পারে। তিনি আরও বলেন দুই মাসের মধ্যে এ কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথাও রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ