পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাজ্যের ক্রেতার কাছ থেকে বিশেষ ধারা যুক্ত ঋণপত্র পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী : করোনার মধ্যেও রফতানিতে রেকর্ডের পর রেকর্ড, ওমিক্রনে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা
করোনার দুরবস্থা কাটিয়ে ব্যাপকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাকখাত। পোশাক রফতানি থেকে আয় বেড়ে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত বছর জানুয়ারির তুলনায় ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে এ বছর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এদিকে পোশাক খাতের সুসময়ের পাশাপাশি নতুন করে শঙ্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দেশের এক প্রতিষ্ঠান ও সাত ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার কথা সেই সময় জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। এখন সে আশঙ্কাই বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্যবহৃত হওয়া ঋণপত্রে যুক্ত হতে শুরু করেছে বিশেষ ধারা। পাশাপাশি নতুন করে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শঙ্কায় ফেলেছে খাত-সংশ্লিষ্টদের।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ২৯ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে পোশাক রফতানি ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ২৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে (১২ মাসে) পোশাক রফতানি থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি আয় করেছিল বাংলাদেশ। আর সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসেই (এক মাস) তার সমান ৪ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। বর্তমান বিনিময়হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩৫ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। এই আয় এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। এর আগে পোশাক রফতানি থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ আয় ছিল গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার।
সংশ্লিষ্টদের মতে, পশ্চিমা অর্থনীতি করোনা মহামারির দুরবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে বিভিন্ন পণ্যের, বিশেষত পোশাক উপকরণ রফতানি বাড়ছে। ফলে প্রায় প্রতি মাসেই রফতানি আয়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। মহামারিকালে কম দামি পোশাকে ভর করেই রফতানিতে চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্ক ছড়ালেও অতি প্রয়োজনীয় কম দামের পোশাক বিশেষ করে নিট পোশাক রফতানি কমবে না বলে জানিয়েছেন এ খাতের রফতানিকারকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে ক্রেতারা বাংলাদেশের বাজারে ঝুঁকছেন বেশি, এটা অবশ্য আমাদের জন্য সুখবর। তাদের মতে, ক্রেতারা এতদিন অন্য দেশের চেয়ে কম মূল্যে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার চেষ্টা করছে। সে অবস্থারও পরিবর্তন হচ্ছে। এখন তারা প্রচুর অর্ডার দিচ্ছে। এই সুযোগে ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি বাড়িয়ে প্রাপ্য মূল্য নিতে হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ব্যবহৃত হওয়া ঋণপত্রে বিশেষ ধারা যুক্ত হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন তারা।
অর্থনীতির গবেষক বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন বলেন, অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে এখন রফতানি খাত। বিশেষ করে পোশাক খাত। সত্যিই অবাক করার মতো উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে এই খাতে। এই যে করোনার ধকল সামলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে চলেছে পোশাক খাতের রফতানি আয়।
রফতানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ২ হাজার ৯৫৫ কোটি (২৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন) ডলার রফতানি আয় করেছেন বাংলাদেশের রফতানিকারকরা। এর মধ্যে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারই এসেছে পোশাক থেকে। অর্থাৎ এই সাত মাসে মোট রফতানি আয়ের মধ্যে বা ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশই তৈরী পোশাক রফতানি থেকে।
দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরী পোশাক শিল্পের দুটি উপখাত ওভেন ও নিট। আগে নিটের চেয়ে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসত। বেশ কয়েক বছর ধরে রফতানি বাণিজ্যে এই দুই খাতের অবদান ছিল কাছাকাছি। কিন্তু করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ওভেনকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে আসে নিট খাত।
ইপিবি’র তথ্য মতে, স্বাধীনতার পর পোশাক রফতানি থেকে সবচেয়ে চেয়ে বেশি আয় হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ওই অর্থবছরে ওভেন পোশাক থেকে এসেছিল ১৭ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আর নিট থেকে এসেছিল ১৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার।
২০১৯-২০ অর্থবছরে পোশাক রফতানি থেকে মোট ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওভেন পোশাক থেকে এসেছিল ১৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। আর নিট পোশাক থেকে এসেছিল ১৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।
২০২০-২১ অর্থবছরে পাল্টে যায় চিত্র; নিট থেকে আসে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। আর ওভেন থেকে আসে ১৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। মোট আয় হয় ৩১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সেই ব্যবধান আরো বেড়েছে। এই সাত মাসে তৈরী পোশাক রফতানি থেকে যে ২৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে তার মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১৩ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। আর ওভেন থেকে এসেছে ১০ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পোশাক রফতানি থেকে যে বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে তার মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩৪ শতাংশই এসেছে নিট পোশাক রফতানি থেকে; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ শতাংশ। আর ওভেনে রফতানি বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা ভাবিনি নিট খাতের রফতানি এতটা বাড়বে। মহামারির মধ্যেও দেশের রফতানি আয়ে উল্লম্ফন হচ্ছে, তা কিন্তু নিট পোশাকের ওপর ভর করেই। মানুষ যত সমস্যায়ই থাকুক, যত অর্থ সঙ্কটেই থাকুক না কেন, অতি প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতেই হয়। সে কারণে নিট পোশাক রফতানি বাড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমানের ইতিবাচক ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। সে বিবেচনায় গত অর্থবছরের মতো এবারও একটা ভালো বছর পার করব বলে মনে হচ্ছে।
ওভেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এভিন্স গ্রæপের চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, মহামারির কঠিন সময়ে কম দামি পোশাক রফতানি করছি আমরা। বায়াররা অতি প্রয়োজনীয় পোশাক কিনেছেন। সে কারণে নিট পোশাকের রফতানি বেড়েছে। এখন অবশ্য ওভেনও ভালো রফতানি হচ্ছে। প্রচুর অর্ডার আসছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমাদের ভালো দিন যাচ্ছে বলা যায়।
এদিকে পোশাক খাতের ঋণপত্রে (এলসি) যুক্ত হতে শুরু করেছে বিশেষ ক্লজ বা ধারা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক ক্রেতার কাছ থেকে স¤প্রতি এমন ধারা যুক্ত হওয়া ঋণপত্র পেয়েছেন বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণ দেখিয়ে এতে বিশেষ ধারা যুক্ত করেছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। ঋণপত্রে বিশেষ ধারা সংযোজনের কারণে আমদানি-রফতানির বিপরীতে অর্থ পরিশোধ নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা করছেন পোশাক খাত-সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে এতে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
ওই ঋণপত্রের একটি ধারায় যা উল্লেখ করা হয়েছে তা এমনÑ ‘জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাগুলোর দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ডকুমেন্টারি ক্রেডিট সম্পর্কিত লেনদেনে অক্ষম হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন ঘটলে আমরা কোনো দায়বদ্ধতা গ্রহণ করব না এবং উদ্ভ‚ত কোনো ক্ষতি, বিলম্বের জন্য দায়ী থাকব না।’
বাংলাদেশের পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের মতে, এমন ধারার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। তবে ঋণপত্র গ্রহণ করা বা না করার বিষয়টি নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট পোশাক রফতানিকারক কারখানা কর্তৃপক্ষের ওপর। নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ধরনের কোনো ঘটনা যদি ঘটে সেক্ষেত্রে করণীয় নিয়ে ভাবতে হবে।
অবশ্য ঋণপত্রে নিষেধাজ্ঞা-সংশ্লিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্রেতার পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি ঋণপত্র আমি পেয়েছি। বিষয়টিকে কিভাবে অ্যাড্রেস করব তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। কারণ এ ধরনের ধারা এখন আসবে, আর কিভাবে তা হ্যান্ডেল করা যায় তা বড় উদ্বেগের বিষয়। এটা নিয়মিত চর্চায় পরিণত হওয়ার শঙ্কাও বোধ করছি। তবে বিষয়টিতে যাতে আমরা ভীত হয়ে না পড়ি, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বায়িং হাউজগুলোকে চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অবশ্য একাধিক ব্যবসায়ী বলছেন, ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেতার পাঠানো ঋণপত্রে বিশেষ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ধারায় নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে ব্যবহৃত ঋণপত্র কার্যকর থাকবে না। কোনো লেনদেনে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ওই ঋণপত্রের বিপরীতে অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কারো সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে পরবর্তী সময়ে সবাইকে কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক এলসির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডোমেইনে পর্যালোচনা করতে হবে।
এদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনও শঙ্কায় ফেলেছে পোশাকখাত সংশ্লিষ্টদের। ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড ও বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, ওমিক্রনের কারণে বায়াররা ডেলিভারি কিছুটা সেøা করে দিয়েছেন। তবে ভালো খবর হলো এখন পর্যন্ত দেশের পোশাক খাতে কোনো অর্ডার বাতিল হয়নি।
ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি ও বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, ওমিক্রনের কারণে গত ডিসেম্বর থেকেই অর্ডার কমে আসছে। তবে এখন অর্ডার কমলেও আমাদের সমস্যা নেই। কারণ আমাদের কাছে যে অর্ডার রয়েছে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত কাজ করতে পারব। তবে বর্তমানে সমস্যা হচ্ছে, বায়াররা অর্ডার দেয়া পণ্য নিতে বিলম্ব করছেন। তাতে পেমেন্ট দেরিতে হবে, পেমেন্ট দেরিতে পেলে ব্যাংকঋণ পরিশোধে সমস্যা হবে। শুধু তাই নয়, ওমিক্রন যদি আরো বিস্তার লাভ করে, এরপর বায়ারা অর্ডার স্থগিত করলে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হব। তার কারণ ইতোমধ্যে কাঁচামাল চলে এসেছে, পোশাকও প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর প্রস্তুত করা পণ্য রফতানি করতে না পারলে টাকা পাওয়া যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।