Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মাওলানা সালাহউদ্দিনের ইন্তেকালে সামাজিক মাধ্যমে শোকের ছায়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১১:১৪ পিএম | আপডেট : ১১:২০ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা সালাহউদ্দিনের ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মরহুমের ইন্তেকালের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা সালাহউদ্দিনের মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য ভক্ত গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ইন্তেকালের পর সামাজিক মাধ্যমে মরহুমের নানা কৃতিত্ব ও অবদান স্মরণ করেছেন অসংখ্য ভক্ত ও গুনগ্রাহী মানুষেরা। অনেকেই মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি দোয়া প্রার্থনা করে পোস্ট দিয়েছেন।

২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি মাওলানা সালাহউদ্দিনকে খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে তিনি মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৬৪ সালে ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা উবায়দুল হকের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি মুহাম্মদ নুরুদ্দীন। তারপর তিনি খতিব নিযুক্ত হন।

নেটিজেনরা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবার পরিজন ধৈর্য ধারণ করতে পারেন সেজন্য আল্লাহর দরবারে দেয়া প্রার্থনা করেন। ফেসবুকে শামসু দোহা নামে একজন লিখেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ হুজুরকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন। আমি যখন ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করতাম, তখন হুজুর আমার শিক্ষক ছিলেন। আমি হুজুরে আত্বার মাগফিরাত কামনা করি।’’

কাজী মুহাম্মাদ বিল্লাহ উদ্দিন লিখেছেন, ১১ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ঈলাইহী রজিঊন। আল্লাহ্ পাক উনার ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।’’

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর মরহুমের প্রথম জানাজা হবে। এরপর জিগাতলায় দ্বিতীয় জানাজা ও মিরপুরে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। মরহুম সালাহউদ্দিনের অসিয়ত অনুযায়ী মিরপুর এলাকায় তার একজন পীরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ