পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাল হবে ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হতে পারে, সেখানে সবশ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। নিষেধাজ্ঞা যেটা হয়েছে তা মাত্র শুরু। আরও অনেক ঘটনা বাকি আছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কিছু দানবের বিরুদ্ধে যারা নরহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু যারা এই নরহত্যার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে তো এখনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। যারা এ সরকারি বাহিনীকে এসব কাজে যুক্ত করে তাদেরও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা উচিত। জাতীয় প্রেসক্লাবের গতকাল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদী সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, গণফোরামের (একাংশের) মহাসচিব এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সার্চ কমিটির নামে যা হচ্ছে তা নাটক। তিন বছর আগেই শেখ হাসিনা সার্চ কমিটি করে রেখেছেন। তাই এসব বিষয়ে সবাই সজাগ থাকতে হবে। ২০২২ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিষেধাজ্ঞা সবে শুরু, এ ঘটনার আরও অনেক কিছু বাকি। যে কোনো সময় ঝড় শুরু হবে। এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সরকার আলেমদের শাস্তি দিয়ে বিশ্বকে দেখাচ্ছে আমরা জঙ্গিবাদ দমন করতেছি। সরকারের এমন চিন্তায় দেশের অনেক আলেম, কৃতিসন্তান কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে মেজর হাফিজ বলেন, বক্তৃতা, বিবৃতি অনেক হয়েছে, এখন আর এসবের সময় নেই। মাঠে নামার প্রস্তুতি নেন। যে আন্দোলনে আলেমরাও থাকবে আমরাও থাকব, জিনসের প্যান্টও থাকবে, পাঞ্জাবিও থাকবে। আর সেটি হবে গণআন্দোলন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার পেছনে বিএনপির আইনজীবীদেরও ব্যর্থতা রয়েছে। তারা (আইনজীবীরা) সবাই মিলে কেন ওনার জামিনের ব্যবস্থা করতে পারলেন না? এ ব্যর্থতার কারণ তারা ভয় পান, বিচারকরা যদি রিজেক্ট করে দেন। করলে করবে। সেটা দেশ দেখুক, জনগণ দেখুক।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে রয়েছে। ইচ্ছে থাকা মন্দ কিছু না। কিন্তু সেটা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। আমিও তার ইচ্ছাকে সমর্থন করতাম যদি তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেন। যেটা ওনার পিতা করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, সরকার বলেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সব ধরনের চিকিৎসা ফ্রি হবে। খালেদা জিয়া ৮১ দিন হাসপাতালে ছিলেন, তার টাকাটা আপনি পরিশোধ করবেন তো?
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষিত যুবক-যুবতি রয়েছেন। আজ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে এদের প্রত্যেকেরই চাকরি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।