বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নিলাম, ডিক্রি, দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে অন্যের জমি আত্মসাতের ঘটনায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সহ ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিবুল হাসানের আদালত অভিযুক্তদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। হাজতে যাওয়া অন্যান্যরা হলেন দাড়িয়াল এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে আঃ রশিদ হাওলাদার, আবুল হোসেন হাওলাদার, তহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও সাহানুর বেগম।
আদালত সূত্র থেকে জানা গেছে, একই এলাকার নরেন্দ্র নাথ পাল তার পৈত্রিক ওয়ারিশ হিসাবে পাওয়া ৬০২ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ওই জমি আত্মসাৎ করতে ২০১৫ সালে একটি জাল নিলাম সৃষ্টি করে ২০১৬ সালে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে নরেন্দ্র পাল বাঁধা দেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নিলাম ডিক্রী জাল। এছাড়া শহিদুল ইসলাম নিলাম ডিক্রী ব্যবহার করে জাল দলিল ও পর্চা সৃষ্টি করে নরেন্দ্র পালের ৩ একর ৫৩ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ডও করেছেন। বাকি জমি আত্মসাৎ করতে নরেন্দ্র পালের দুই ফুফু জয়া ও গীতা এবং হেমায়েত হোসেনের নাম ব্যবহার করে একটি সাফ কবলা দলিল সৃষ্টি করেন। বরিশালের ওই জমি ১৯৭১ সনে পুড়ে ফেলানো খুলনা জেলার সাতক্ষিরা উপজেলার ইসলামকাঠি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা দেখানো হয়েছে। ২০১৬ সালে ওই জমির রেকর্ড সংশোধন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন নরেন্দ্র পাল। আদালত মামলাটির তদন্ত করতে সিআইডি’কে নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সেলিম ঘটনার সত্যতা ও আঃ মোতালেব হাওলাদার মারা যাওয়ায় তার অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। তারা আদালতে হাজির না হলে ১২ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযুক্তরা গতবছর ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে ৬ সপ্তাহের জামিন লাভ করলেও জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানায়। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। একই মামলায় অভিযুক্ত বিনোদ বিহারী পালের মেয়ে জয়া রানী পাল ও গীতা রানী পাল ১ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করে জেল হাজতে গেছে। তবে বামনীকাঠীর মৃত নুর মোহাম্মদ সিকদারের ছেলে হেমায়েত হোসেন খোকন ও চেয়ারম্যানের বোন কহিনুর বেগম এখনো পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।