বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক কৃষকদের চাষের তিন ফসলী জমি অধিগ্রহণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি ক্যাম্পের পিছনে হায়দারপুর ও জাফরপুর গ্রামের মাঠে নিজেদের জমির সামনে কৃষকেরা এ মানববন্ধন করে কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ২টার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।
ভূক্তভোগী কৃষকরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুর এলাকায় ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর। সরকার ওখানে বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার করার জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কৃষকদের দাবী, জাফরপুর ও হায়দারপুরের ৩৮ ও ৩৯ নং মৌজার যে জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে তা তিন ফসলী জমি। এ সকল জমিতে ১৪ মাসে ৪টি ফসল হয় বলেও দাবী কৃষকদের। তাঁরা এ জমি অধিগ্রহণের জন্য দিতে রাজি নয়।
গ্রামবাসীদের গণস্বাক্ষর করা স্মারকলিপিতে লিখিতভাবে বলা হয়েছে, জাফরপুর ও হায়দারপুরের গ্রামের মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। এ এলাকায় ধান, ভুট্টা, পান, ডাল ফসল, আলু, কপি এবং খেজুর গাছের রস উৎপাদন হয়। যা রাজধানীসহ সারাদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। ৩৮ ও ৩৯ নং মৌজায় যে সকল চাষযোগ্য জমি রয়েছে সেখানে ১৪ মাসে ৪ ফসল উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। ৩৮ ও ৩৯ নং মৌজায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে ট্রেনিং সেন্টার করার জন্য বসত বাড়ীসহ প্রায় ৩০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি নষ্ট করা হবে না, কোন কৃষি জমিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে না। সেকারণে আমরা কৃষি জমি দিতে চাইনা।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বিজিবি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার জন্য জাফরপুর মৌজায় ২৭৫ বিঘা ও হায়দারপুর মৌজায় ৭৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য জাফরপুর মৌজায় ৫০ বিঘা জমি, জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ মৌজায় ১৫ বিঘা কৃষি জমি,পাওয়ার গ্রীড সাব-স্টেশন প্রতিষ্ঠার জন্য এ মৌজায় ২০ বিঘা কৃষি জমি, সামাজিক বন বিভাগ অফিস ও নার্সারি প্রতিষ্ঠার জন্য এ মৌজায় ১৫ বিঘা কৃষি জমি, ব্র্যাক ও গণসাহায্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এ মৌজায় ৫ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণ, সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামবাসীর ব্যক্তি মালিকানা জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রায় ৩৫০ বিঘা ফসলী জমিতে খাল খনন করা করেছে। ট্রেনিং সেন্টার করার নামে বর্তমানে বিজিবি বসত বাড়িসহ প্রায় ৩০০ বিঘা কৃষি জমি অধিগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যা বাস্তবায়ন হলে জাফরপুর ও হায়দারপুর গ্রামে কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, কৃষক মানিক বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।