বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এবার ভেঙে পড়লো প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের গ্রেট বিম ও পিলার। গত রোববার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে ভেঙে পড়ে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় নির্মাণাধীন এই মসজিদটি। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।
স্থানীয়রা বলছেন, ত্রুটিমুক্ত নির্মাণকাজের জন্যই এমনটি হয়েছে। এদিকে গণপূর্ত বিভাগের ভাষ্য, এটি ভেঙে পড়েনি। নির্মাণকাজে ত্রুটির কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে বারহাট্টার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাজহারুল ইসলাম সোমবার সকালে মসজিদের ভেঙে যাওয়া অংশটি পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ইউএনওকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে গবেষক ও সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘বাঙালি কেমন মুসলমান? ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, লুটপাট, কমিশন বাণিজ্য বাঙালি এখন আর অবৈধ মনে করেনা। তাই এর ভদ্র নাম দিয়েছে 'সহনীয় মাত্রা', 'ফেয়ার শেয়ার', "স্পিড মানি' ইত্যাদি। হোক সে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাদ্রাসা, ঈদগাহ্ কিংবা কবরস্থান নির্মাণ- চুরি মাফ নেই। যতটুকু কাজ না করলে বিল পাশ হবে না ততটুকু পর্যন্ত বাঙালি চুরি করে। এমন কি কাজ একেবারেই না করেও যদি বিল পাস করা যায় তাতেও দ্বিধা করে না। আবার এই চুরির টাকা দিয়ে ওমরা করে, এলাকার মসজিদে দান করে, ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি/ সভাপতি হয়। মসজিদ নির্মাণের টাকা চুরি করে মসজিদে গিয়েই আবার তওবা করে গুনাহ মাফের জন্য কান্নাকাটি করে। মাওলানা সাহেব তার জন্য স্পেশাল মোনাজাত করেন।’
গাজী মিজানুর রহমানের প্রশ্ন, ‘এর চেয়ে লজ্জাজনক ও দুঃখজনক আর কী হতে পারে? আল্লাহর ঘর মসজিদের টাকা মেরে তারা কার জন্য টাকা জমাবে? তাদের কি মৃত্যুর ভয় নেই?’
ক্ষোভ প্রকাশ করে কামরুল হাসান লিখেছেন, ‘অরাজকতা কোন পর্যায়ে পৌঁছালে মানুষ এমন একটা ঘৃণিত কাজ করতে পারে? অসভ্য বর্বর এ জাতি সভ্যতার নামে আর যা কিছুই করুক না কেন অসভ্য এ জাতি আর সভ্য হবে না!’
মুহাম্মদ আল আমিন লিখেছেন, ‘মানুষের কতটুকু অধঃপতন হলে আল্লাহর ঘর থেকে দুর্নীতি করে চিন্তা করেন!’
ঘৃণা জানিয়ে এমডি হোসাইন লিখেছেন, ‘সবার উপরে আল্লাহ আর তার ঘর মসজিদ। সেই ঘর নির্মাণে ও দুর্নীতি। ঘৃণা জানাই এ-ই সব মানুষকে।’
আনিস রহমান লিখেছেন, ‘মানুষের চরিত্রের উন্নতি না করে দেশের উন্নতি করতে গেলে এমনই হবে। আগে উন্নত মানুষ তৈরি করা হোক, সেই উন্নত মানুষরাই দেশকে উন্নত করবে। অন্যথায় সব কিছু ধ্বসে পড়বে এই বিমের মত। অলরেডি পড়া শুরু হয়ে গেছে।’
মনজুরুল আলমের দাবি, ‘তদন্ত করে দেখা হোক। যদি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে তবে সংশ্লিষ্ট চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।