নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলায় সার পাচারকালে ১শ বস্তা সার ও ১০ কার্টুন কীটনাশক উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। সোমবার রাতে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি এলাকা থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় ট্রলার চালক ইসমাইল ও হেলপার জয়নালকে আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পান।

জানা গেছে, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকার নাসিরউদ্দিন ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ‘মেসার্স ভূঁইয়া ট্রেডার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারিভাবে সারের ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। নাসিরউদ্দিন ওই ইউনিয়নের কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সার সংগ্রহ করেন। সার সংগ্রহ করা হলেও স্থানীয় কৃষকরা তার দোকান থেকে চাহিদা মতো সার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সপ্তাহে তিন চার দফায় তার দোকানে সার আসলেও এ সার উধাও হয়ে যায়। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। কৃষকরা সার উধাও হওয়ার রহস্য উদঘাটন করতে তৎপর হয়ে পড়েন। গত সোমবার রাতে সারের ডিলার নাসিরউদ্দিন ভূঁইয়ার দোকান থেকে ১শ বস্তা সার ও ১০ কার্টুন কিটনাশাক ট্রলারে উঠানোর সময় কৃষকরা দেখতে পান। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন সরকারকে অবগত করে ট্রলারটি আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া যাওয়ার পথে অর্ধশতাধিক কৃষক একত্রিত হয়ে চেঙ্গাকান্দি এলাকায় ট্রলারসহ দু’জনকে আটক করে। জানতে পেরে ঘটনার পর রাতেই বারদী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিয়াদ হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে সারগুলো তার জিম্মায় নেন।

স্থানীয় কৃষক জাকির হোসেন জানান, নাসিরের দোকানে সার আনতে গেলে সার পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে খারাপ ব্যবহার করে। সারের অভাবে আমাদের ইরি ধান গাছ মরে যাচ্ছে। এ সার অন্য জায়গায় এভাবে রাতের অন্ধকারে পাঁচার করে দিলে আমরা সার তো পাবোই না।

এদিকে অভিযুক্ত নাসিরউদ্দিন জানান, আমার বিরুদ্ধে যারা বক্তব্য দিয়েছে তারা আমার শ্রমিক না। এ সার আমার দোকান থেকে নেয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ এলাহী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। সারগুলো জব্দ করে উপজেলা নেয়া হয়েছে। তবে পাচারের সঙ্গে জড়িত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।