বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫২ জন প্রার্থী। সাধারণ আসনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৪ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১১৭ জন প্রার্থী। সোমবার ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয় রাত সোয়া ১০টায়। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২% ভোট না পাওয়ায় ১২ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। এরমধ্যে রামভদ্রপুর ইউনিয়নে ২ জন, ভাইটকান্দি ইউনিয়নে ১ জন, ফুলপুর ইউনিয়নে ১ জন, পয়ারী ইউনিয়নে ১ জন, রহিমগঞ্জ ইউনিয়নে ১ জন, রূপসী ইউনিয়নে ২ জন, বালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থী মিজানুর রহমান তালুকদারসহ ৩ জন ও ১০নং বওলা ইউনিয়নে ১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
ফুলপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৈয়দা আশুরা আক্তার খাতুন, হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার জন কেনেথ রিছিল ও শ্রীবরধী উপজেলা নির্বাচন অফিসার এন এম সাজ্জিল সাদিক এ খবর নিশ্চিত করেন। তারা বলেন, মোট কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ ভাগের কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। ফলাফল শীটে দেখা যায়, রামভদ্রপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. ইব্রাহীম রব্বানী মোট ২৪১ ভোট, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. এস কে পলাশ সরকার ৪৮১ ভোট, ভাইটকান্দি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. মন্নাছ আলী ১৩৮ ভোট, ফুলপুর ইউনিয়নে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. আলতাব হোসেন ১৭৪ ভোট, পয়ারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হেকিম সরকার টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ৬৮২ ভোট, রহিমগঞ্জ ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে আবদুল আজিজ ফকির ৪৫২ ভোট, রূপসী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ৬১২ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. ফজলুল করিম ৮২৭ ভোট, বালিয়া ইউনিয়নে মিজানুর রহমান তালুকদারের চশমা প্রতীকে ১২৬ ভোট, মো. নুরুল্লাহ পাঠান আনারস প্রতীক নিয়ে ১৮৯ ভোট, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. শরীফুল ইসলাম ২৯২ ভোট ও বওলা ইউনিয়নে মো. গোলাম মাওলা তালুকদার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১০৩২ ভোট পেয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই মোট কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২% কম ভোট পেয়েছেন। তাই তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।