বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাবা-মাকে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেওয়ার ৩০ মিনিট পর মুজাহিদুল আলম সজিব নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে অফিসে কর্মরত অবস্থায় মারা যান তিনি।
মুজাহিদুল আলম সজিব (৩৫) বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আবদুর রশীদ মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় এজিএম পদে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনরা জানায়, সজিব গাজীপুরে ইসলাম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় এজিএম পদে কর্মরত ছিল। প্রতিদিনের মতো সোমবারও তিনি অফিসে কাজ করছিলেন। কাজের ফাঁকে দুপুর আড়াইটা নাগাদ ফেসবুকে বাবা-মাকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন। এর আধা ঘণ্টা পর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোনাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজিবের সহকর্মী ফয়সাল আহমেদ জানান, সজিব তার ডেক্সে কাজ করছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে তিনি ওয়াশরুমে যান। ওয়াশরুম থেকে হাতমুখ ধুয়ে এসে আবার ডেস্কে বসলে তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যান। পরে তাকে ধরাধরি করে অফিসের মধ্যেই শোয়ানো হয়। সজিবের অবস্থার অবনতি হলে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আধা ঘণ্টা আগে সজিব বাবা-মাকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- দ্বিমত থাকতেই পারে। কিন্তু আমি জানি এবং বিশ্বাস করি, আয় যত কষ্টেরই হোক না কেন, নিজের বাবা-মায়ের মুখে খাবার তুলে দেওয়া, বাবা-মায়ের দেখাশোনা করার দায়িত্ব শুধু সৌভাগ্যবানরাই নিতে পারে। নিজের বাবা-মাকে সম্মান করুন, শ্রদ্ধা করুন, ভালোবাসুন। বাবা-মা যে কী জিনিস তা যাদের বাবা-মা নেই তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন, তাদের থেকে ভালো উত্তর আর কেউই দিতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।