Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহিষের গাড়িতেই সাফল্য মিলেছে বাপ-বেটার

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

‘আমরা বাপ বেটা দু’জনই মহিষ গাড়ির গাড়িয়াল। এ কাজ করে সফলতা পেয়েছি। স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপনসহ নগদ অর্থের মুখ দেখি প্রতিদিন। আজ গাড়ির বায়না পেয়েছি তিন টিপ ইট বহনের জন্য। তাই গভীর রাতে উঠে মহিষের খাবার দিয়েছি ডাবাই।’ কথা গুলো বললেন, ভেমরুল্লা গ্রামের পচা মন্ডলের ছেলে মিনারুল। সে পেশায় মহিষ গাড়ির গাড়িয়াল।
খাবারের সাথে আছে বিছলি, কাঁচা ঘাস ও গমের ভুুষি। মহিষ জোড়া কেবল খেতে শুরু করেছে। এমন সময় মোবাইল বেজে উঠলো। রাত তখন চারটা বাজে। মহিষ ডাবাই খাবার খেতে খেতে ভোরের আজান শুরু হলো। বায়না একটু বেশি তাই সকাল সকাল ইট বহনের জন্য ভাটায় যেতে হবে। বেলা দশটার মধ্যে দুই টিপ মারতে পারলে বাকিটা সামলে নেয়া যাবে। ধীর গতির এই মহিষের গাড়ি নিয়ে জনবহুল সড়কে পথ চলতে হয় সাবধানে। দিন দিন নতুন নতুন প্রযুক্তির কাছে হার মানতে শুরু করেছে গরু-মহিষের গাড়ি। তাই গ্রামীণ জনপদ থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে এই জীবন্ত যানটি। প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার আর মহিষের খরচ বাদে কিছু টাকা হাতে থাকে। তাই অর্থের মুখ দেখি প্রতিদিন। এভাবে জীবনের পঁচিশটি বছর পেরিয়ে গেছে গাড়িয়ালের কাজ করে।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চুয়াডাঙ্গা-দামুড়হুদা সড়কের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন ইট ভাটা থেকে মহিষের গাড়িতে ইট বহনে ভাড়া মারি। চুয়াডাঙ্গার ভেমরুল্লা গ্রামে আমার বসবাস। কোন দিন দুই টিপ আবার কখনো তিন টিপ ভাড়া পায়। প্রতিটিপ পাঁচশত টাকা। গো খাদ্যেও দিন দিন মুল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে চরম আকারে। জীবন্ত এই মহিষ দুটিকে ভালভাবে খাওয়াতে প্রতিদিন তিন শত টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়। ওদের কে ভাল ভাবে খাবার না দিলে গাড়ি টানতে পারবে না। মহিষ দুটির বর্তমান বাজার মুল্য দুই লাখ ছিয়াত্তর হাজার টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ