প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ থামছেই না। একের পর এক বিতর্কিত ইস্যু সামনে আসছে আর সমালোচনার ঝড় উঠছে। এবার চিত্রনায়ক জায়েদ খানের স্মার্টফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে গোপন আলাপের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিল কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। সেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে জায়েদ খানের আলাপের কয়েকটি স্ক্রিনশট দেখান নিপুণ। যা এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্ক্রিনশটে দেখা যায়, নির্বাচন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে স্মার্টফোনে মেসেজ আদান-প্রদান করেছেন জায়েদ খান। তাদের আলাপচারিতার কিছু অংশ এরকম- জায়েদ খান: ভাইয়া পেমেন্ট ক্লিয়ার, নো টেনশন। অপর ব্যক্তি: বেশ। তাদের সবাইকে বিএফডিসির গেট থেকে একটু দূরে অবস্থান করতে বলে দিয়েছি আমি। তুমি বুকে সাহস রেখে কাজ চালিয়ে যাও। জায়েদ খান: ভাইয়া হারুণ ভাই বলল রিয়াজকে সরাতে হবে। অপর ব্যক্তি: শোনো জায়েদ, সব তোমার ইচ্ছে মতো হলে চলবে না। প্রশাসনিক ঝামেলা আমাকে পোহাতে হয়। রিয়াজকে টেকনিক্যালি এখন কিছু করতে গেলে তোমার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। রিয়াজ বরং ভেতরেই থাকুক। বিকল্প উপায় বের করো।
জায়েদ খান: ভাইয়া আমি সব সেটিং করে রেখেছি। আপনি পারমিশন দিলে গেম প্লে স্টার্ট করব। এই স্ক্রিনশটগুলো সম্পর্কে নিপুণ বলেন, ‘এগুলো ইতোমধ্যে আইজিপির কাছে আমি দিয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, কারা এটা করেছে, সেটা তিনি বের করবেন’। এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে দুটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জায়েদ খান ও নিপুণ। এতে ১৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন জায়েদ। তবে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিপুণ পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তার এই দাবিতে সমর্থন দিয়েছেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের অন্যরাও। এর আগে ভোটও পুনর্গননা করিয়েছিলেন নিপুন।
ওদিকে এই বিষয়ে জায়েদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্ক্রিনশটের ব্যাপারটি নির্বাচনের আগের দিনই আমার কাছে এসেছে। একজন পাঠিয়েছে। আধুনিক যুগে এগুলো সবাই জানেন। স্ক্রিনশট হলে, যার কাছে মেসেজ পাঠিয়েছি, তার ছবিটা কোথায়? দুইজনের সঙ্গে আলাপের স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে, তাহলে সেই মানুষটা কে? আমরা এতো বোকা না। স্ক্রিনশট দিয়ে তার নামটা সরিয়ে দেবেন, তাহলে কীভাবে হবে! ওই লোকটাকে সামনে আনেন। যাকে আমি এসব মেসেজ দিয়েছি, তাকে দেখতে চাই’। টানা তিনবার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া এই নায়ক বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমার একটা ছবি দিয়ে প্রোফাইল খুলে এই স্ক্রিনশটগুলো রেডি করে তারপর ছেড়ে দিয়েছে। আমি ওইদিনই বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে কথা বলেছি। অলরেডি আমি স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এটা যে করেছে, তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি মামলা পর্যন্ত করব’।
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘মেসেজের পাশে ওই ব্যক্তির ছবিও থাকার কথা, উপরে নাম থাকার কথা। কিছুই নেই। এটা কীভাবে সম্ভব। এটা সুপার এডিটেড। আমি বলেছিলাম, আমাকে মার্ডার কেসে আটকানোর চেষ্টা করেছে, পপিকে দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছে, এখন এগুলো শুরু করেছে। ঘটনা হলো, জায়েদ খান জিততেই পারবে না। কিছু মানুষের এমন মানসিকতা কাজ করছে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।