Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেবিদ্বারে নৌকার অফিসে হামলা, পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৪৫ পিএম

কুমিল্লা দেবিদ্বারে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিনের নির্বাচনী অফিসে ঢুকে নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মো. মহিউদ্দিন মিঠুর নেতৃত্বে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ধামতী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধামতী গ্রামের রহমান ফকিরের মাজার সংলগ্ন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই ঘটনার সময় ধারাল অস্ত্র হাতে দেবিদ্বার থানার এএসআই আনোয়ারের ঘোরাঘুরির একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অভিযোগ পুলিশ তাকে অসহযোগিতা করছে। এই ঘটনায় নৌকা প্রতীকের সমন্বয়ক মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে ধামতী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাদেকুর রহমান সরকারসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই নৌকা প্রতীকের সমর্থক দুলাল ও আনারস প্রতীকের সমর্থক রুবেল আহমেদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক-উন-নবী তালুকদার রাত ৮টার পর নির্বাচনী কার্যালয় খোলা রাখায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিনকে ৫০ হাজার ও রাতে সংঘবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির জন্য আনারস প্রতীকের মো. মহিউদ্দিন মিঠুকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে আটক দু’জনকে ছেড়ে দেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিন জানান, রাত ১১টায় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মহিউদ্দিন মিঠু এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সরকারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে করতে রামদা’ রড, লাঠি নিয়ে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এসময় আমার কমপক্ষে ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় আমি এই ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতা চেয়েও পাইনি। তার সামনে আমাদের লোকজনকে মারধর করা হয়।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান (আনারস) প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মো. মহিউদ্দিন মিঠু বলেন, আমি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাদেকুর রহমান সরকারসহ ৩ জন শনিবার রাত ৯টায় দেবিদ্বার সদর থেকে আসার পথে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বাড়ি সংলগ্ন আমার সমর্থকদের প্রতিষ্ঠিত আনারস প্রতীকের অফিস কার্যালয়ে চা’ খাওয়ার জন্য ডেকে বসাই। এসময় নৌকা সমর্থকরা আমার উপর হামলা করতে চড়াও হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেনকে আমাকে উদ্ধারে আহ্বান জানাই। এসময় এএসআই আনোয়ার হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে আমাদের উদ্ধার করেন।

এদিকে ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মারুফুর রহমান বলেন, ধামতী ইউনিয়নের দুই প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ওসি মহোদয়সহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এসময় একজন সমর্থকের হাত থেকে একটি বড় ছোরা (ধারাল অস্ত্র) উদ্ধার করি। যার হাতে ছোরা ছিল সে পালিয়ে যায়। পরে ওই ছোরা হাতে এএসআই আনোয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ছোরাটি নিয়ে ঘোরাঘুরি করার দৃশ্যটি স্থানীয় সিসি ক্যামেরাসহ মোবাইল ফোনে অনেকেই ধারণ করেন। যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ওই দৃশ্যটি দেখলে মনে হয় এএসআই নিজেই ছোরা হাতে হামলা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ