পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন বছর ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দাম বেড়েছে বছরের প্রথম মাসজুড়েই। দফায় দফায় দাম বেড়ে সব ধরনের তেলের দাম নতুন উচ্চতায় উঠেছে। জ্বালানি তেলের এমন দাম ২০১৪ সালের পর আর দেখা যায়নি। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ। হিটিং অয়েলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জ্বালানি তেলের দামে বড় লাফ দিয়ে নতুন বছর ২০২২ সাল শুরু হয়। বছরের প্রথম সপ্তাহেই প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৯৩ ডলারে উঠে আসে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দাঁড়ায় ৮৪ দশমিক ২৬ ডলারে। বছরের তৃতীয় সপ্তাহে ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তলের দাম দাঁড়ায় ৮৫ দশমিক ১৩ ডলারে। গেল এক সপ্তাহে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়ে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৭ দশমিক ২৯ ডলারে। এতে বছরের প্রথম মাসেই অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অবশ্য সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৮ দশমিক ৭৪ ডলারে ওঠে। অপরিশোধিত তেলের এত দাম ২০১৪ সালের পর আর দেখা যায়নি।
অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দামও নতুন বছরের প্রথম মাসজুড়েই বেড়েছে। বছরের প্রথম সপ্তাহে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৮১ দশমিক ৭৬ ডলারে উঠে আসে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম দাঁড়ায় ৮৬ দশমিক ৪৭ ডলারে। বছরের তৃতীয় সপ্তাহে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে ৮৭ দশমিক ৮৯ ডলারে উঠে আসে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম। গেল এক সপ্তাহে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ক্রুড অয়েলের দাম ৮৯ দশমিক ৮০ ডলারে উঠে এসেছে। এতে বছরের প্রথম মাসেই এই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
অন্যদিকে গেল এক সপ্তাহে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে প্রতি গ্যালন হিটিং অয়েলের দাম ২ দশমিক ৭৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। বছরের প্রথম সপ্তাহে হিটিং অয়েলের দাম বাড়ে ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সপ্তাহে বাড়ে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং তৃতীয় সপ্তাহে বাড়ে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। এতে বছরের প্রথম মাসে হিটিং অয়েলের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিলে ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে তেল। সেদিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়। রেকর্ড এ দরপতনের পরেই অবশ্যই তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারে আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়া এবং লিবিয়ার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে বিশ্ববাজারে তেলের বড় দরপতন হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। তবে এ পতনের ধকল কাটিয়ে ওই বছরের নভেম্বর থেকে আবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অবশ্য প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ডলারের নিচে থেকেই ২০২০ সাল শেষ হয়।
২০২১ সালের শুরুতেই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ ডলারে উঠে আসে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল। তবে গত বছরের জুন থেকে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতায় নতুন হাওয়া লাগে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত বছরের জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে। জ্বালানি তেলের এ দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে পরের কয়েক মাসও। এতে গত বছরের অক্টোবরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলার স্পর্শ করে, যার মাধ্যমে ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর আবারও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮০ ডলারের দেখা পায়।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।