পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমরণ অনশন ভেঙে সুনসান দিন কাটানোর পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ফের আন্দোলন চলমান রেখেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভিসির বাসভবনের সামনের অনশনস্থলে রোড পেইন্টিং ও চাষাভুষার টংয়ে বারবিকিউ নাইটের পাশাপাশি আলপনায়, প্রতিবাদী ফুটবলে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে প্রায় সারারাত কনসার্ট চালিয়ে গেছেন তারা। পাশাপাশি গতকাল সন্ধ্যায় গোল চত্বরে সবাই মিলে ‘হীরক রাজার দেশে’ সিনেমা দেখেছেন।
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলায় আহত ও অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং ঢাকায় সজল কুন্ডের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সঙ্কট নিরসনে সিলেটে এসে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোহাইমিনুল বাশার রাজ ও সামিউল এহসান শাফিন এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, এই ভিসির পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব, যাচ্ছি। আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা প্রতিদিনই প্রতিবাদী কনসার্ট করছি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুনের ‘চাষাভুষা’ নিয়ে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টং বন্ধ করে দেওয়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘চাষাভুষার টং’ স্থাপন করেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে এ টং দোকান খোলা থাকে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ’ ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরদিন ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ঘটনার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।