রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারীর ডিমলায় মাঘের তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো ধান চাষ শুরু করেছেন। কেউ জমি তৈরিতে ব্যস্ত, কেউ চারা উত্তোলন করছেন। আবার কেউবা জমিতে চারা রোপণের কাজ করছেন। তবে তেলের দাম বাড়ায় বোরো চাষে খরচ বেড়েছে ফলে কৃষকরা দুশ্চিন্তায়।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমন ধান ঘরে তোলা সম্পন্ন করে আগাম বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছেন তারা। পাশাপাশি বীজতলা ও জমিও তৈরি করছেন। তবে তেলের দাম বাড়ায় বেশির ভাগ কৃষক পড়েছেন বিপাকে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পানি সেচ, হাল চাষ ,সার-বীজ ও কীটনাশকে বিঘা প্রতি ১০০০ থেকে ১২০০শ’ টাকা খরচ বেড়েছে।
ডিজেল ও বীজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের সমস্যা সমাধান করার জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর ৪ হাজার ৩শ’ কৃষকের মধ্যে সরকারের হাইব্রিড ও উফশী জাতের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। চাষিরা এরই মধ্যে আবাদ শুরু করেছেন।
সুন্দরখাতা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বোরো ধানের চাষ করে আসছেন তিনি। এ বছরও দুই একর জমিতে বোরো ধান চাষ করছেন। প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বোরো ধান চাষে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে প্রায় ২২ মন হারে ধান পাওয়া যায়। তবে যারা অন্যের জমি ইজারা নিয়ে চাষ করেন তাদের প্রতিবিঘায় অতিরিক্ত আরো ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। তেলের দাম বাড়ায় সেচ ও হাল চাষে অনেক খরচ বেড়েছে কিন্তু ধানের দাম নিয়ে শঙ্কায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী বলেন, বোরো ধান চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও উৎসাহ দিচ্ছি। এ উপজেলায় আগের তুলনায় বোরো চাষ অনেক বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কিছুটা বাড়লেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।