Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানিকগঞ্জে হত্যার রহস্য উন্মোচন

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

মানিকগঞ্জে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছেন পুলিশ। হত্যাকান্ডের প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার ও নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এক প্রেসব্রিফিংয়ে মার্জিনা আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচন ও ১১ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মাসুদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল শুক্রবার পুলিশ সাপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম গ্রামের মোশারফ হোসেনে মেয়ে মার্জিনা আক্তার (৩০) স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর একাই ঢাকায় থাকতেন। মীরপুরে মাসুদের ভাড়া করা বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া থেকে মার্জিনা আক্তার ডেন্টাল হাসপাতালে কাজ শিখছিলেন। মার্জিনা তার স্বর্নালংকার মাসুদকে দেন বন্ধক রেখে টাকা এনে দেয়ার জন্য। মাসুদ ওই স্বর্নালংকার বন্ধক না রেখে তা বিক্রি করে দেন। মার্জিনাকে জানানো হয় ২০ হাজার টাকা স্বর্নালংকার বন্ধক রাখা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে মার্জিনা ২০ হাজার টাকা মাসুদকে ফেরত দিয়ে স্বর্নালংকার দাবি করেন। এনিয়ে মার্জিনার সাথে মাসুদের কথাকাটাকাটি হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে মাসুদ মার্জিনাকে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর স্ত্রী রেখার সহায়তায় লাশ গলাকেটে কাগজের কার্টুনে প্যাকেট করে। ওই দিন সন্ধ্যার পর একটি সিএনজি ভাড়া করে তাতে লাশ ভরা বস্তাটি নিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ওয়াইজনগর গ্রামে একটি খালের পানিতে ফেলে দেয়। হত্যাকান্ডের ২১ দিন পর ১৪ জানুয়ারি পুলিশ ওয়াইজনগর থেকে বস্তাভর্তি প্যাকেটটি উদ্ধার করে অজ্ঞাত নারী লাশ হিসেবে তা দাফনের ব্যবস্থা করেন। সিংগাইর থানায় ক্লুলেস বিহীন একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ক্লুলেস বিহীন এই হত্যা মামলা নিয়ে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে মাঠে নামেন পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হালিম কৌশলে ১১ দিন তদন্ত করে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে শেখ মাসুদ (৩৮) ও তার স্ত্রী রেখা (৩৩)। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ স্বীকার করেন মার্জিনা আক্তারকে হত্যা করার কথা। মাসুদের দেখানো মতো নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্রে ধরে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এরপর মার্জিনার ভাই মহিদুর রহমান ও বোন লিপি আক্তার ছবি দেখে সনাক্ত করেন খুন হওয়ার অজ্ঞাত ওই নারী তাদের বোন মার্জিনা আক্তার।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, ১১ দিন পুলিশ পরিশ্রম করে ক্লুলেস বিহীন এই হত্যাকান্ড প্রধান আসামি গ্রেফতারসহ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। গতকাল আসামিদের ১৬৪ ধারার জবানবন্দির জন্য আদালতে তোলা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ