Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃতকে জীবিত দেখিয়ে ভুয়া দলিলসহ নামজারি

পটিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

মাওলানা খলিলুর রহমান (রহ.) ১৯৭৫ সালে ১০৫ বছর বয়সে মারা যায়। আর ভূমিদস্যু চক্র খলিলুর রহমানের ১৯৮৮ সালের একটি রেজিস্ট্রি দলিল দেখিয়ে ১৪ শতক ভূমি নামজারী করে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামে। এ ভূমি দখল করতে খলিলুর রহমানের ওয়ারিশদের জমির চাষাবাদ নষ্টসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে ভূমিদস্যু চক্রটি। এদের নির্যাতনে মরহুম খলিলুর রহমানের ৪ নাতি দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়ি ছেড়ে পটিয়া পৌর সদরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়ায় একটি রেস্টুরেন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মরহুম খলিলুর রহমানের ওয়ারিশগণ এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে খলিলুর রহমানের নাতি মো. আশেক জানান, ভূমিদূস্য চক্রের সদস্য স্থানীয় মৃত সাইফুল করিম চৌধুরীর পুত্র রেজাউল করিম চৌধুরী বাবুল ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি ১৮৮নং দলিলে সাইফুল করিম চৌধুরীকে খলিলুর রহমান ১৪ শতক ভূমি রেজিস্ট্রি দেয়া একটি দলিল দেখিয়ে ২০১২ সালে পটিয়া এসিল্যান্ড অফিসে নামজারী খতিয়ান ১১৮৯ সৃজন করেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল করিম চৌধুরী বাবুল স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার মাহাবুবুল কবিরকে নিয়ে একটি কিশোর গ্যাং চক্রের মাধ্যমে উক্ত ভূমি দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। চলতি আমন মৌসুমে মরহুম মাওলানা খলিলুর রহমানের ওয়ারিশগণের রোপণকৃত প্রায় ৫০ হাজার টাকার ধান জোর পূর্বক লুটে নেয়। এছাড়া গত ২৪ জানুয়ারি ইউপি মেম্বার মাহাবুবুল কবিরের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং চক্র আশেকের রোপণকৃত প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষেতের ফসল ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দেয়। মোহাম্মদ আশেক জানান, উক্ত নামজারী খতিয়ানের ব্যাপারে আপত্তি দেয়া হয়েছে তা তদন্ত চলছে।

১৮৮নং দলিলটির সহিমুহুরী নকল নিয়ে দেখা যায় বর্ণিত তারিখে কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন গ্রামের আবু তালেব স্থানীয় হাঁচি মিয়া থেকে খরিদকৃত জায়গার উক্ত দলিল সম্পাদন করেছে। এছাড়া সার্ভেয়ার মশিউর রহমানকে দখল বিষয়ক প্রতিবেদন রেজাউল করিম বাবুলের পক্ষে প্রভাব খাটিয়ে আদায় করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। জাল দলিল সৃষ্টিকারী এসব ভূমিদূস্যচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ