বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের দুই এসআই নিহত হওয়ার নয়দিন পর পলাতক আসামী গাড়ী চালক আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করে। পুলিশ আদালতে গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ পলাতক গাড়ীচালক ও মাদকের আসামী আলমগীরকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে বুধবার সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আলমগীরকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় পুলিশ চেকপোষ্টে তল্লাশীর সময় আলমগীর নামে এক ব্যক্তি প্রাইভেটকার নিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় গাড়ীতে ৪২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিকে নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চলে যায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি দল। এসময় আসামিই গাড়ি চালায়। এসপি অফিসে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিকে নিয়ে থানায় রওয়ানা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে, তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না ফলে আসামিকে দিয়েই গাড়ি চালানো হয়। পরে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় সন্ধ্যায় গাড়ি থেকে কৌশলে লাফিয়ে পড়ে গাড়ি খাদে ফেলে দেন গাড়িচালক আলমগীর।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুই এসআই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। এছাড়া রফিকুল ইসলাম নামে আরও এক এএসআই আহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।