Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তালতলীতে শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

বরগুনার তালতলীতে শ্বশুরবাড়ি বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ইব্রাহিম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপজেলার ছোটভাইজোড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন নিহতের বাবা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌরভীর এলাকার বাদশা খলিফার ছেলে ইব্রাহিমের সাথে একই উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোটভাইজোড়া এলাকার মো. দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ে লামিয়ার সাথে দু’বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। চার মাস আগে একটি সন্তান হলে লামিয়া আক্তার বাপের বাড়ি চলে যান। সেই সময়ে স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে ফেরত আসেন ইব্রাহিম। পরে নোয়াখালীতে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতে চলে যায়। নোয়াখালী থেকে চার মাস পরে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ হলে স্ত্রী জানান তালতলী সদরে বাসা রেখে যদি থাকা যায় তাহলে স্বামীর সাথে থাকবে, শ্বশুর বাড়ি থাকবে না। পরে ইব্রাহিম তালতলী সদরে বাসা রেখে গত সোমবার শ্বশুর বাড়ি স্ত্রীকে আনতে যায়। এ নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ইব্রাহিমের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ১টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ইব্রাহিমের শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে আমি প্রজেক্টের ডিউটি শেষে বাড়িতে এলে ইব্রাহিমকে দেখতে পাই। রাতে আমার মেয়ে চিৎকার করে ডাকতে থাকলে গিয়ে দেখি পেছনের একটি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর বেশি কিছু জানি না। ইব্রাহিমের বাবা বাদশা খলিফা বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এর আগে ৪ মাস আগে আমার ছেলে তার স্ত্রীকে আনতে গেলে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে তার শ্বশুর। পরে অভিমানে ছেলে নোয়াখালী চলে যায়।
আমার ছেলের লাশ যখন উদ্ধার করেছে তখন তার পায়ে জুতা এবং মাটিতে দাঁড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে তারপর বুঝবো।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ