Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন পার্বত্য জেলার সব অবৈধ ইট ভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩৯ পিএম

বান্দরবান রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলার সব অবৈধ ইট ভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দু' সপ্তাহের মধ্যে আদালতের আদেশ প্রতিপালনের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত আরেক আদেশে লাইসেন্স ছাড়া পরিচালনা করা সব ইট ভাটার তালিকা আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করে আদালতে হলফনামা আকারে দাখিলের জন্য তিন জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

রুলে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন স্থানে লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হওয়া সব ইটভাটা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পরিচালনার জন্য ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩-এর ধারা ৪.৫.১৪.১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না— রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ইটভাটায় পাহাড় কেটে মাটি কাঁচামাল হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বনের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট দায়ের করে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)-এর ৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া চলতে পারবে না। অবৈধভাবে ইটভাটা চালালে ধারা ১৪ অনুসারে দুই বছরের সাজার বিধান আছে। তা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার লাইসেন্সবিহীন পরিচালিত সব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এছাড়া ওই আইনের ৫ ধারায় পাহাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং তা করলে একই আইনের ১৫ ধারায় দুই বছরের সাজার বিধান রয়েছে। তারপরও পাহাড়ের মাটি ইট ভাটার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

মনজিল মোরসেদ বলেন, এ কারণে পার্বত্য এলাকার অনেক পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি হয়েছে। এসব কারণে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ