Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৪

মীরসরাইয়ে ইভটিজিংয়ে বাধা

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

মীরসরাইয়ে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। গত রোববার দুপুুরে উপজেলা সদরে ও পৌরসভায় তালবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবাল নাহিদ ও মীরসরাই পৌরসভার ৮ নন্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লিটনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দু’পক্ষের ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মীরসরাই কলেজ ছাত্রলীগ আহবায়ক কমিটি সদস্য, নিশাত (২৩), রাজু (২৪), শাকিব (২৪), সাজিব (২০)। আহতদের মধ্যে সাকিব, রাজু, নিশাতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া করেছে। অন্য দু’জনকে উপজেলা সদরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, মীরসরাই সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেইটে সাকিব, রাজুসহ কয়েকজন এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের চেষ্টা করলে হাসান নামে একজন তাদের বাঁধা দেয়। ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়া সাকিব ও রাজু হাসানকে মারধর করে। এরপর হাসান দলবল নিয়ে আসলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে হাসান দলবল নিয়ে পৌরসভার তালবাড়িয়া এলাকার তার বন্ধু রিয়াজের বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে সাকিব, রাজু, নিশাতের নেতৃত্বে তালবাড়িয়া এলাকায় গিয়ে রিয়াজের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও চেয়ার ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবাল নাহিদ ও মীরসরাই পৌরসভার ৮ নন্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লিটনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
মীরসরাই পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. লিটন জানান, তার কোন গ্রুপ নেই। সংঘর্ষের ঘটনার সাথে তার কোন সম্পর্কও নেই। মীরসরাই পৌরসভা ছাত্রলীগ ও মীরসরাই কলেজ ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কে বা কারা এ সংঘর্ষের ঘটনায় তার নাম জড়াচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাফর ইকবাল নাহিদ জানান, ইভটিজিংয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর লিটনের ছেলেরা গত শনিবার রাতে কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এরপর রোববার সকালে আবার হাসান নামে এক ছেলেকে মারধর করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। লিটন গ্রুপের ছেলের বাড়িতে দোকানে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়। এ সংঘর্ষ ছাত্রলীগের কোন ঘটনা নয় বলে দাবি করেন জাফর।
মীরসরাই থানার মজিবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে কোন পক্ষ এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ