Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগতিতে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি

আমানত উল্যাহ, রামগতি (লক্ষ্মীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুতকরা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করা হলেও রামগতি উপজেলার মাছের প্রায় সব আড়ত এবং হাটবাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।
উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা ঠিকমত তদারকি না করায় রামগতি উপজেলায় সয়লাব হয়ে গেছে জাটকা আহরণ ও বিক্রি। মৎস্য কর্মকর্তার উদাসীনতাকেই দায়ী করেন সচেতন মহল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন হাটবাজারে অবাধে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ভোর না হতেই শুরু হয় বেচাকেনা। দুর-দূরান্ত থেকেক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এসে আড়তদারদের কাছ থেকে জাটকা ইলিশ কিনে স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রামগতির মেঘনানদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়তে ও হাটবাজারে বিক্রি করছেন। এই জাটকাগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের বাজারে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। উপজেলার রামগতি বাজার, আলেকজান্ডার, রামদয়াল, বিবিরহাট ও জমিদারহাটসহ ছোট বড় সকল হাটবাজারে এই জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ী খলিল মাঝি বলেন, রামগতির মেঘনানদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাটবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিবছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এ বছর এখনো তেমন অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা জানান, এবার এখনো অভিযান শুরু হয়নি। মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই তাদের জাটকা শিকার করতে হচ্ছে। রামগতি বাজার মৎস্য ঘাটের আড়তদাররা বলেন, অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ীরাও জাটকা বিক্রি করছেন। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু চৌধুরী বলেন, জাটকা বিক্রির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে হয়তো নিয়মিত অভিযান দেয়া যাচ্ছে না। তবে অভিযানের ব্যাপারে তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ