পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কথিত ২৫ সিন্ডিকেট প্রতিহত করতে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিগত দিনের দশ সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিগত দশ সিন্ডিকেট সরকার দেশ জাতির ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে। এরাই ২৫ সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার কুক্ষিগত করতে চায়।আজ সোমবার দুপুরে সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হলে সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি তরুণ জনশক্তি রফতানিকারক এম টিপু সুলতান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক, বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা, আরিফুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, হোনা পারভীন, লিমা বেগম, হাবের নেতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আব্দুল মতিন, খলিলুর রহমান। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান ২৫ সিন্ডিকেটের পক্ষে গত ১৪ জানুয়ারি বাংলদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহম্মেদর কাছে একটি পত্র প্রেরণ করেন যাহা খুবই দুঃখজনক। মালয়েশিয়ার সকল রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত থাকবে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২৫ এজেন্সি সিন্ডিকেট এবং ২৫০ সাব এজেন্ট এর প্রস্তাব চরম অনৈতিক অনভিপ্রেত সমতার পরিপন্থী এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য চরম অবমাননাকর। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সকল রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত থাকবে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২৫ এজেন্সি সিন্ডিকেট এবং ২৫০ সাব এজেন্ট এর প্রস্তাব চরম অনৈতিক অনভিপ্রেত সমতার পরিপন্থী এবং দেশের জন্য চরম অবমাননাকর। আইনগত ভাবে সকল রিক্রুটিং এজেন্সি সমমানের হওয়া স্বত্বেও ২৫ এজেন্সি মূল সিন্ডিকেট আর তাদের সাব এজেন্ট (দালাল) হবে ২৫০ এজেন্সি এটি রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহের জন্য চরম অবমাননাকর। একটি রিক্রুটিং এজেন্সি অন্য একটি সমমানের রিক্রুটিং এজেন্সির সাব এজেন্ট কোন অবস্থায়ই হতে পারে না। নেপালের ১৬০০ এজেন্সিসহ কর্মী প্রেরনকারী অন্য সকল দেশ মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেটমুক্ত ভাবে সকল রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণ করতে পারে। বাংলাদেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কেন মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের অধিকার প্রাপ্ত হবে না ? প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ২৫ সিন্ডিকেটের প্রস্তাব গ্রহণ না করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের অধিকারের কথা উল্লেখ করে গত ১৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রীর কাছে যে পত্র দিয়েছেন ( ওপেন ফর অল) সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সমঅধিকার সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাবৃন্দ বাংলাদেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি হতে স্বাধীন ভাবে কর্মী গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া আসন্ন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি সংযোজনসহ বাস্তবায়ন চাই। অতীতের ১০ সিন্ডিকেট চক্র বর্তমানে ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে ২৫০ এজেন্সিকে যুক্ত করার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন গ্রহণের অপচেষ্টা পুনরায় করতে পারে। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট মালয়েশিয়া অভিবাসন সেক্টরে কোন প্রকার সিন্ডিকেট করা যাবে না এই মর্মে রায় প্রদান করেন।
জাতীয় সংসদে আলোচনায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হবে না মর্মে জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন । বর্তমান সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে অতীতের ১০ সিন্ডিকেটের মূল খলনায়কেরা পুনরায় ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন । এসব সিন্ডিকেট চক্রের অপতৎপতা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। সিন্ডিকেট করে কর্মী পাঠালে মন্ত্রণালয়ের ইমেজ, বায়রার ইমেজ, এই সেক্টরের ইমেজ এমনকি সরকারের ইমেজ ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হবে। দেশীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে সরকারের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট হবে।
দেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সরাসরি ডাটা ব্যাংক থেকে লোক নিয়োগ করলে কম খরচে মালয়েশিয়া (সিন্ডিকেট মুক্ত) কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা সরকার ও দেশের স্বার্থে অপরিহার্য । সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসী কর্মীদের নিকট হতে বাংলাদেশ বিমান এয়ার টিকিট অযৌক্তিকভাবে ২/৩ গুন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ বিমানে লন্ডন যেতে ২০/২২ ঘন্টা সময় লাগে টিকিটের মূল্য ৫৫/৬০ হাজার টাকা আর মধ্যপ্রাচ্যে ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে টিকিটের মূল্য ৭৫/৯৫ হাজার টাকায় ও চাহিদা অনুযায়ী টিকিট পাওয়া যায় না। ফলে বিদেশি এয়ার লাইন্স সমূহ বাংলাদেশ বিমানকে অনুসরণ করে ২/৩ গুন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। আর্থিক ভাবে মারাত্মকভাবে শোষিত হচ্ছে বিদেশগামী অসহায় প্রবাসী কর্মীরা। যেহেতু বাংলাদেশ বিমান মাত্র ১০% থেকে ১৫% যাত্রী বহন করে এই সুযোগে বিদেশি এয়ারলাইন্স সমূহ ২ থেকে ৩ গুন বেশি ভাড়া বাড়িয়ে বৈদেশিক রেমিট্যান্স টিকিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা দৃঢ় ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ বিমানের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের কারনেই মূলত দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশী এয়ারলাইন্স গুলো ভাড়ার মাধ্যমে দেশ হতে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য আমরা সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও দেশের স্বার্থে মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে লিখিত পত্র দেয়ার পরেও আজ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ার টিকিটের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আসেনি। মধ্যপ্রাচ্যগামী ৩০ হাজার টাকার এয়ার টিকিট বর্তমানে এক লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে এবং চাহিদা অনুযায়ী টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে কতিপয় প্রস্তাব পেশ করা হয়, প্রস্তাব সমূহ হচ্ছে, জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমান সহ মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্স সমূহকে চাহিদা অনুযায়ী দ্রæত ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট হতে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, প্রবাসী কর্মীদের জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ সকল এয়ারলাইন্সে লেবার ফেয়ার নির্ধারণ করতে হবে,বাংলাদেশকে ওপেন স্কাই ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স সমূহকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ বিমানসহ সকল বৈদেশিক এয়ারলাইন্স সমূহকে যৌক্তিক ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর নজরদারির আওতায় আনতে হবে। নেতৃবৃন্দ উল্লেখিত সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।