পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় পাঁচ মিনিট না গড়াতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট কমে।
এরপর অবশ্য আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। কিন্তু শেষ আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে দরপতন হয় সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের। ফলে সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৭৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৮টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিনটির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
এই তিন কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, ফু-ওয়াং ফুড এবং এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও এক পর্যায়ে বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
এদিকে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫৬ কোটি ৭ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, সোনালী পেপার, সাইফ পাওয়ার টেক, ফরচুন সুজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং লিন্ডে বিডি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।