বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাইক আরোহী যুবক আবু সুফিয়ান (৩৫) কে বনভোজনগামী যাত্রীদের পিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার গুলিস্তান এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয় উপজেলার কলমা এলাকার শাহজাহান মালদের ছেলে মো. সবুজ (২১), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রহমতপুর এলাকার মো. কামালের ছেলে মোঃ শাকিল (২৬), শরীয়তপুর সখীপুরের চরপাড়া এলাকার সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম(২৫)।
গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পিডিকে পেট্রোল পাম্পের সামনে আবু সুফিয়ানকে পিটিয়ে হত্যা করে বনভোজনগামী যাত্রীরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে সুফিয়ানের চাচা মো. জজ মিয়া বাদী হয়ে গাড়ীর ড্রাইভার-হেলপার সহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন,মামলা নং-৩৭।
নিহত আবু সুফিয়ান মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত গোলজার হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান পিপিএম বার জানান, গতকাল রাতে এসআই শওকত জামিলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, শনিবার রাতে গুলিস্তান সিটি প্লাজা মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে ৭ দিন করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে দশটায় আবু সুফিয়ান (৩৫) এবং তার বন্ধু অনিক সরকার হৃদয় (২৪) মোটর সাইকেল যোগে সাইনবোর্ড হতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলটিকে সি ডি এম ট্রাভেলস (ঢাকা—মেট্রো ব—১৪—৪৬৪৯) এর একটি বাস চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পর সুফিয়ান ও তার বন্ধু হৃদয় কোনো রকমে নিজেদের রক্ষা করেন। পরে তারা কিছু দুর এগিয়ে বাসটির গতিরোধ করেন। এ সময় বাসের চালক, হেলপারসহ বনভোজনগামী যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এক পর্যায়ে বনভোজনের যাত্রী এবং বাসের চালক ও হেলপাড়সহ ২০—২৫ জন সুফিয়ান ও হৃদয়কে গণপিটুনি দেয়। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, গণপিটুনির এক পর্যায়ে সুফিয়ানকে গলায় পা দিয়ে চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এবং হাইওয়ে পুলিশ এগিয়ে এলে অন্যরা সবাই পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।