পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে টানা তিন দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ জনকে এরই মধ্যে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল বের করেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে একই স্থানে এসে প্রতীকী লাশ সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা কয়েক মিনিট অবস্থান করেন। এদিকে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. নাজমুল হাসান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অসুস্থ ১৭ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ছয়জন শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এক দফা দাবিতে এখানে আন্দোলনে এসেছি। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আজকের এই মৌন কাফন মিছিল। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিছিল ও আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজার অসদাচরণের পর গত ১২ জানুয়ারি রাত আটটা থেকে সে হলের ছাত্রীরা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবির এ আন্দোলন টানা চারদিন চলার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও তার পরদিন পুলিশি হামলার পর এ আন্দোলন মোড় নেয় ভিসির পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে। এরপর ভিসিকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য বেঁধে দেয়া সময়ের পর গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা তিনটা থেকে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। একই দিন দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নারী শিক্ষকদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, স্লোগানের অভিযোগ এনে মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একাংশ।
ক্যাম্পাসে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে ভিসির বিরোধী আন্দোলনের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে দেখা না গেলেও আমরণ অনশনে বসার পর থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তারা। এদিকে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গত শুক্রবার মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণির সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কথা বলার সুযোগ করে দিলে তারা প্রথমে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য ঢাকা গমনের সিদ্ধান্ত জানায় এবং সিদ্ধান্ত পালটে শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে এসে আলোচনা অথবা অনলাইন আলোচনার প্রস্তাব দেন। শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকে ঢাকায় গিয়ে আলোচনায় বাসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় গিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।