রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের রোগীরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক দালালদের খপ্পড়ে। হাসপাতালের আসা রোগীদের ক্লিনিকে নিতেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিন দৌড়ঝাপ শুরু করেন ক্লিনিকের দালালরা। উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিতে দালাল নিয়োগ করেছে। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দালালমুক্ত হাসপাতাল গড়তে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে হাসপাতালে নারী চোরের উপদ্রুব বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাসরিন নামের এক রোগী হাসপাতালের আউটডোরে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখিয়েছেন। চিকিৎসক নাসরিনকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন। নাসরিন বাইরে বেরুতেই দালালের খপ্পরে পড়েন। পরে একে একে কয়েকজন দালাল ওই রোগীকে তাদের ক্লিনিকে নিতে চেষ্টা করছে। কিন্তু নাসরিন কোন পরীক্ষা করাবে না জানালে দালালরা ভিন্ন রোগীর খোঁজে স্থান ত্যাগ করে। এমন চিত্র পুরো হাসপাতাল জুড়ে দেখা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারী, অস্ত্রপাচার, এক্সরে, ইসিজিসহ ক্লিনিক্যাল সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম খরচে করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে হাসপাতালে আসা রোগীদের ক্লিনিকে নিতে দালালরা মিথ্যা ও প্রলোভন দেখায়। দালালরা যতজন রোগী ক্লিনিকে নিয়ে দিতে পারবে ততটাই কমিশন পায়। এতে রোগীরা দালালদের খপ্পরে পড়ে ক্লিনিকে চলে যায়। ফলে প্রতারণা ও বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে আসা রোগী ইশরাত জাহান জানান, চিকিৎসক দেখিয়ে চেম্বারের বাইরে আসতেই এক নারী এগিয়ে আসে। এসময় তিনি বলেন, হাসপাতালেতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না। তাই আসুন বাইরে থেকে কম টাকায় পরীক্ষা করিয়ে দেই।
রোগীরা জানান, দালালরা হাসপাতালে যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকার কথা বলে ক্লিনিকে যেতে বলে। এতে বাড়তি টাকার পাশাপাশি নাম সর্বস্ব পরীক্ষায় প্রতারণা হতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লিনিকের এক নারী দালাল জানায়, হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকায় রোগী তেমন পাওয়া যায় না। একজন রোগী নিতে পারলে কিছু কমিশন পাওয়া যায়। এতে দুপুর পর্যন্ত কয়েকজন রোগী ক্লিনিকে নিতে পারলে তিন-চারশ’ টাকা পাওয়া যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহিউদ্দীন জানান, রোগী সেজে দালালরা হাসপাতালে আসে রোগী ভাগিয়ে নিতে। হাসপাতাল দালালমুক্ত করতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। হাসপাতালেই কম খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও দালালরা রোগী ক্লিনিকে নিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। এছাড়াও হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত কারণে এবং করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের ফলে রোগীর সংখ্যা বেশি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।