Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাইব্রিড ধানে ব্যাপক সাড়া

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

থকথকে কাদা পানির জমিতে চিড়িক মেরে জানান দিচ্ছে বোরো ধানের উর্বরতা। আর প্রকৃতি বলে দিচ্ছে সময় এসেছে বোরো আবাদে। বোর আবাদের দিনমজুরা কনকনে ঠাণ্ডায় আর থকথকে কাদা পানির জমিতে লুঙ্গি গুছিয়ে মাঠে নেমেছে বোরো ধানের চারা লাগাতে। তাই তারাই যেন এ সময় কাদা জলের চিত্রকর। তারাই মাঠজুড়ে মনের ক্যানভাসে কাদাজলে পুঁতে দিচ্ছে বোর চাষিদের সেই সোনালি মনের স্বপ্ন। শুধু কি তাই? কৃষি অফিসও নেমেছে লক্ষ্যমাত্রা পুরণে। এ সময় বোর চাষিদের স্বপ্নে আঁকা সেই সোনালি দিনটি হাতের নাগালে পাইয়ে দিতে। নাওয়া-খাওয়া শিকেই তুলে সেই ভোর বেলা বোর চাষের ডাকে সাড়া দিয়ে মাঠজুড়ে শুরু হয়েছে বোরো চাষের ছবি আঁকা। অনান্য স্থানের মত চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বোর ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আর ক’দিন পরই মাঠজুড়ে ধান ক্ষেত হয়ে উঠবে সবুজের সমারহে। তখন আরও বেশি মনে পড়বে চির সবুজের দেশ, মোর সোনার বাংলাদেশ।
দামুড়হুদা উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১০ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে বোর আবাদের। কৃষি অফিস দিনরাত কাজ করে চলেছে বোর চাষিদের নিয়ে বোরো উৎপাদনের জন্য নানা পরামর্শ ঝুলি সাথে নিয়ে। তবে উপজেলায় বোর চাষে পানি সেচ দিতে ব্যবহার হবে ৯৬টি গভীর নল কূপ, ১২ হাজার ৯শ’ ৪২টি অগভীর নলকূপ, ৩টি এলএলপি, ৫টি সোলার পাম্প দিয়ে পানি সেচ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। দামুড়হুদা বোরো চাষি আবুজার, দশমী গ্রামের খবিরউদ্দিন বলেন, দামুড়হুদা বাস স্ট্যান্ডের পূর্বদিকে নোনা শিষার মাঠে ধান লাগানোর কাজ শুরু করেছি। বোরো ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত দিনমজুর আক্কাছ, মাহামদ, খোরশেদসহ আরও অনেকে বলেন, এবার বোরো ধান লাগানোর কাজে ৩শ’ টাকা করে হাজিরায় কাজ করছি। এবার দিনমজুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বোরো চাষি কুড়ালগাছির হাবিব, মদনার খালেকসহ অনেকে বলেন, এবার আমন ধান খুব ভাল হয়েছে। আমন ধানের বাজারদর ভাল পেয়েছি। বাজার দর ভাল থাকার কারণে এবার বোরো ধান লাগাতে হিড়িক পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বোর চাষিরা বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করেছে। এবার উন্নত হাইব্রিড ফলনশীল জাত (উফশী) ব্রি-৮১, ব্রি-৬৩ এই জাতের ধানের ব্যাপক সাড়া পড়েছে। চাষিদের এই জাতের ধান আবাদেও পরামর্শ, বীজ সহায়তা এবং জাত সম্প্রসারনের জন্য প্রদর্শিত প্লট স্থাপনসহ আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বোরো চাষিদের পটাশ সার ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই সময় ধানে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ে সম্ভবনা থাকে। পটাশ সার ব্যবহার করলে ধানে ব্লাস্ট রোগের প্রদুর্ভাব প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। ধানে কোন রোগ দেখা দিলে দ্রুত কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করা জন্য কৃষি অফিসের দরজা খোলা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ