বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোটালীপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ৬০ভরি স্বর্ণ ও ৫ লক্ষ টাকা লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার ৭নং হিরন ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি এবাদুল ইসলাম সহ তার পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেধে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল দো-তলা বাস ভবনের নিচতলার পশ্চিম পাশের কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে বাসার কেয়ার টেকার জুলফিকার কে বেধে ফেলে। ভিতরের সিঁড়ি দিয়ে তারা দোতলায় গিয়ে ভাতিজা ইমরান ও মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী মীমকে জিম্মি করে চেয়ারম্যানের রুমে ঢুকে চেয়ারম্যান মুন্সি এবাদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী উষা দিবাকে পিস্তল ঠেকিয়ে হাত পা বেধে আলমারি থেকে বিভিন্ন ধরনের ৬০ ভরি স্বর্ণ অলঙ্কার ২টি আই ফোন ও নগদ ৫লক্ষ টাকা লুটে নেয় এ সময় মুখোশধারী কয়েক জন ডাকাত বড় ভাইয়ের নির্দেশ মোতাবেক চেয়ারম্যানকে হত্যা করতে উদ্যত হয় কিন্তু অন্য সদেস্যরা তাতে রাজি না হয়ে শুধু মালামাল লুট করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করে। চেয়ারম্যান মুন্সি এবাদুল ইসলাম জানান গত শনিবার ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে রবিবার রাত ১টা পর্যন্ত জনসাধারণের বিষয় নিয়ে থানা পুলিশের সাথে দরবার করি, সেখান থেকে বাড়ী ফিরে স্থানীয় জনগণের সমস্যা নিয়ে রাত ২.৩০ মি. পর্যন্ত কথা বলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এর পর রাত অনুমান ৩টা থেকে ৩.৩০মি মধ্যে ডাকাতরা তার বাসায় ঢুকে সবাই কে জিম্মি করে সমস্ত কিছু লুটে নেয়। ডাকাতরা কোন এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে চেয়ারম্যানকে হত্যা করতে এসে ছিলেন বলে তাদের কথোপকথনে শোনা যায় বলেও চেয়ারম্যান জানান। তিনি আরও জানান ডাকাতরা যাবার সময় আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে আমরা আমাদের বসের নির্দেশ পালন করতে এসেছিলাম কিন্তু আপনার বড় কোন ক্ষতি করলাম না আমাদেরও আপনি কোন ক্ষতি করবেন না। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে প্রতি পক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো. কামরুল ফারুক জানান মামলার প্রস্ততি চলছে ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।