পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সহযোদ্ধাদের এখানে রেখে আমি হাসপাতালে থাকতে পারি না!’ কথাটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে যাওয়া শিক্ষার্থী রাফির। গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টায় অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে পাঠানোর পর দুপুর দুইটায় আবারো ফিরেছেন অনশনে। ভিসির পদত্যাগের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে শিক্ষকদের বারবার ফিরিয়ে দেওয়ার পর অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের সাথেও আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
একটি ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন চারদিনের মাথায় গত রোববার রূপ নিয়েছে ভিসির পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে। রোববারের সেই পুলিশি হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে দাবি করে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্বতা পোষণ করেছে রাজনীতিবিদসহ সাবেক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাত ১২টার পর শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিলে অংশ নেন প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
গতকাল সকাল থেকে সারাদিন ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মঞ্জুল মোরশেদ অসীম, সিলেট মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতৃবৃন্দ একাত্বতার ঘোষণা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থেকে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের যৌক্তিক দাবির সাথে আমরা একাত্বতা পোষণ করছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতা ও কর্মীরা আপনাদের সাথে আছে। এরপর দুপুর ২টায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষার্থীদেরকে ভিসির দেখতে আসা ও হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে যাওয়ার বিষয়ে বললে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তাঁর সাথে দেখা করবো না। ওনি (ভিসি) এখান থেকে বের হতে পারবেন না। এখান থেকে বের হতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে অন্যথায় আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করে বের হতে হবে। আমরা আর ওনাকে দেখতে চাই না। পরবর্তীতে অনশনের ৪৮ ঘন্টা পর বেলা ৩টায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেন। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কেমন আছে জানতে চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা ঠিক থাকবে, সুস্থ থাকবে। তাদের কোন সমস্যা থাকবে না সেটাই আমরা চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চলবে আমরা সেটাই চাই। এখানে একটা সমস্যা হয়েছে, আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছে। এর একটি সমাধান দরকার। সেজন্যে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গেছেন, শিক্ষক প্রতিনিধিরা গেছেন, অন্যরাও আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্ত্বশাসিত ব্যাপার আছে। এজন্য গোড়াতেই আমরা সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতে চাই না বা চাইনি। যারা আন্দোলনরত শিক্ষর্থী রয়েছে যারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন ৪/৫ জন যদি আসতে চান তাদের সাথে বসতে পারলে হয়তো খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এসময় শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে ৪/৫ জনসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তাঁর সাথে দেখা করতে পারবে কি না জানাতে বললে শিক্ষার্থীরা তাতে সম্মতি জানিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ১ ঘন্টা চান। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের মধ্যে কথা বলে সকলের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন কয়েকজনকে পাঠাতে বলেন যেন পরবর্তীতে আর কেউ দ্বিমত পোষণ না করেন।
মুটোফোনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাদিয়া জাহান শিক্ষামন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হয়েছেন বলে জানান এবং অতীত বর্তমান সব ঘটনা নিয়ে কথা বলার সম্মতি জানান। সাদিয়া বলেন, ম্যাম আমরা আজকেই আসবো। আমরা এক ঘন্টার মধ্যে আমাদের প্রতিনিধি টিমে কে কে যাবে তা জানিয়ে দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন পালন করা মোট ২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ১২ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে যাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল থেকে পুনরায় অনশনে ফিরেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।