বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরণখোলায় শশুরের জানাজায় অংশ নিতে হেলিকপ্টারে ছুটে এসেছেন জামাতা সৌদি প্রবাসী মোঃ জামাল নুর। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) জুম্মার নামাজের পর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে পৌছান। পরবর্তীতে এ মাঠেই অনুষ্টিত তার শশুরের জানাজায় অংশগ্রহন করেন তিনি।
এর আগে সকাল ৯টায় সৌদি আরব থেকে হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছান তিনি।
সৌদি প্রবাসী মোঃ জামাল নুরের শ্বশুর হাফেজ মোঃ রহুল আমিন বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে খুলনা সিটি কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শশুরের মৃত্যুর খবরে তিনি দেশে ফেরার চেষ্টা করেন। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করেই তিনি বাংলাদেশে আসেন। শশুরের জানাজায় যেন জামাল নুর অংশগ্রহণ করতে পারেন এ জন্য মৃত্যুর দুই দিন পরে হাফেজ রুহুল আমিনের দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
হাফেজ রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে রায়েন্দা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয়দের মাঝে সমাদৃত ছিলেন তিনি। তার জামাতা জামাল নুর ১৫বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন এবং সেখানে তিনি সুনামের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছেন।
মোঃ জামাল নুর বলেন, একজন মৃত মানুষের দাফন হয়ে যাওয়ার পরে তাকে আর দেখার সুযোগ থাকে না। আমার শশুর আমার বাবার মত। তাকে একনজর দেখার জন্য আমি ছুটে এসেছি। এমনিতেই আমার দুই দিন দেরি হয়েছে। সড়ক বা নদীপথে যদি আমি আসার চেষ্টা করতাম, তাহলে আরো বেশি দেরি হত। এ কারনে হেলিকপ্টার যোগে এসেছি। আমি যে আমার শশুরের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি মহান আল্লাহর কাছে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।