বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পঞ্চগড়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. লিটন (৩০) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পলাতক রয়েছেন। সে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কানকাটা এলাকার মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। এছাড়াও ওই মামলায় আরো দশজন এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন। ছয়জন জামিনে চারজন হাজতে।
মামলার এজাহারে যা উল্লেখ আছে , দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিরা চানমিয়াকে মারপিট জখম করে, এবিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পিটিশন ২৭৯/২০২১। পরবর্তীতে আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা করে খুন জখম করার ষড়যন্ত্র করে। সেই অনুযায়ী চাঁনমিয়া ঘটনার দিন (১৪ জুন ২০২১) অফিস শেষে বাড়িতে আসলে আসামিরা আগে থেকে হাতে কোদাল, শাবল,লোহার রড,বাঁশের লাঠি নিয়ে বাড়ির সামনে চিল্লাচিল্লি করলে চানমিয়া বের হয়ে আসলেই কোদাল দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মামলার দ্বিতীয় আসামিসহ অন্যান্য আসামিরাও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। তাতে হারকাটা জখম ও মাথার উপরিভাগে কাটা জখম হয়ে মগজ বের হয়ে রক্তাক্ত হয়। পরে মামলার বাদীসহ সাক্ষীরা এম্বুলেন্সে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করে। এবং দিনাজপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁনমিয়ার (১৬ জুন ২০২১) মৃত্যু হয়। ১৯ জুন২০২১ তেঁতুলিয়া থানায় মৃত চাঁনমিয়ার ছেলে আসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই প্রধান আসামী।
দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের তৎপর রয়েছে বলে জানান, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া।
এদিকে পুলিশ মামলার এজাহারের সকল আসামীর বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন।
স্বামী হত্যাকারী আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেখতে চান স্ত্রী আসমা বেগমসহ তার পরিবার।
সরেজমিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের অবশ্যই যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আর যারা এই হত্যাকান্ডে জড়িত নেই, তারা যেন বিনা দোষে শাস্তি না পায়। ঘটনার সময় অনেকে উপস্থিত ছিল না অথচ আসামি করা হয়েছে। এদিকে এক ভাই অপরাধ করলে আরেক ভাইয়ের নামও দেয়া হয় অভিযুক্ত করে। তবে
সঠিকভাবে তদন্ত করে চার্জশিট দেয়ায় জোর দাবী তুলেন তারা। প্রতিবেশি রংমালা বলেন ঘটনার সময় আমি রাস্তার ধারে পার্শ^বর্তী বেগুন ক্ষেতে কাজ করছিলাম চার জনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন আমার সামনে ওরা ওখানে গেছিল এবং ঘটনা ঘটার পরে আমার সামনে দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফরিদ জানান, ঘটনার সময় আমি ওখানেই ছিলাম লিটন আর সোহেব মৃত চাঁন মিয়া ও তার স্ত্রী আসমা কে মারপিট করেছিল।
মামলার বাদী আসলাম জানান, আসামী আবুল খায়েরের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে মামলা চলছিল, আসামীরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, স্থানীয় দুজন প্রভাবশালীর নাম উল্লেখ করে বলেন তারাই আমার বাবা হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী।
পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আমিনুর রহমান জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধিন তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না। বাদী ইচ্ছা করলে আদালতে নারাজির আবেদন করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।