পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২২৮ শতাংশ। করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে করোনা পরিস্থিতির এই চিত্র তুলে ধরেন অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। এতে বলা হয়, দেশে ১২টি জেলায় করোনা ভয়বাহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অক্রান্তের ঝুঁকি কম থাকায় ১৬টি জেলাকে গ্রিন (সবুজ) জোন হিসেবে ধরা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে দেশে ২৭ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। সাত দিনে ২ লাখ ৩ হাজার ১২২টি পরীক্ষা হয়েছে। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০৫ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সাত দিনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ২২৮ শতাংশ রোগী বেড়েছে।
গত এক সপ্তাহে করোনায় সংক্রমিত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৭ জন বেশি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেশিসংখ্যক মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা শনাক্ত বাড়লেও হাসপাতালে করোনা রোগী বাড়েনি। তবে এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে করোনার ওমিক্রন ধরনের। পাশের দেশ ভারতে ওমিক্রন বেশি ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণত কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট এলে সেটি পুরোনো ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিস্থাপন করে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে করোনার ডেলটার ধরনই বেশি ছড়াচ্ছে। গত বছর করোনার ডেলটা ধরনের তাণ্ডব দেখা গেছে। তাই অসতর্ক হওয়ার সুযোগ নেই।
ঢাকা ও রাঙামাটিসহ ১২টি জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনিরহাট, পার্বত্য খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড় ও রাঙ্গামাটি। এছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২টি জেলা। এগুলো হচ্ছে- সিলেট, ফেনী, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদাহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, রংপুর, শেরপুর, ঝালকাঠি এবং ঠাকুরগাঁও। আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা। স্বাস্থ্য অধিদফতর গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ এবং রাঙামাটিতে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর সংক্রমণ ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। আর কম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার যে বিষয়টি বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বর্তমান যে করোনা ব্যবস্থাপনা, তার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। এটি একেবারেই প্রশাসনিক বিষয়। অধিদফতরের কর্মপন্থা ঠিক করার জন্য এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। কোনো জেলাকে নির্দিষ্ট করা হয়নি। জেলায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যাকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। এই পরিসংখ্যান কোনো সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।