বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টাকা আদায়ের ঘটনায় বরখাস্ত এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কামরুল হাসান (৩৪) চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দুই বছর আগে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকমাস জেলও খেটেছেন। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) আলী হোসেন বলেন, দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে অন্যের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যববহার করে ফোনে টাকা দাবি করতেন তিনি। এ ধরনের সিম বিক্রিতে জড়িত দুইজনকে গত ৩ জানুয়ারি গ্রেফতারের পর শনাক্ত করা হয় কামরুলকে। পরদিন নগরীর সিঅ্যান্ডবি কলোনি থেকে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ফোন করতেন কামরুল। তাদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আছে জানিয়ে টাকা দাবি করতেন। এ ধরনের বেশকিছু অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যেসব নম্বর থেকে ফোনগুলো আসত সেগুলো বিভিন্ন জনের নামে নিবন্ধন করা। জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল পুলিশকে জানায়, অনেকেই তার ফোন পেয়ে বিকাশে টাকা দিয়েছেন। কোন কোন দিন ১০ থেকে ৭০ হাজার টাকাও পেয়েছেন বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে। কামরুল কয়েকদিন পরপর ৮ থেকে ১০ জন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তাকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে টাকা দাবি করেন। পরে সেসব সিম নষ্ট করে ফেলেন।
পুলিশ জানায়, ২০১০ সালে তিনি কনস্টেবল হিসেবে পুলিশে যোগ দেন। ২০১৯ সালে বরখাস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, বাহ্মণবাড়িয়া ও পুলিশ সদর দপ্তরে মেস সহকারীর কাজ করেন। ২০১৯ সালে পুলিশে নিয়োগের নামে প্রতারণার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কামরুলের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ ও শেরে বাংলা থানায় দুটি প্রতারণার মামলা হয়। ওই বছরই এসব মামলায় গ্রেফতার হলে তাকে আরও একটি মামলায় আসামি করা হয়। তখন তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। কয়েক মাস কারাগারে থেকে ওই বছরের শেষ দিকে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।