রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পিটিশন মামলা করেছেন এক সাংবাদিক। সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
গত সোমবার দায়েরকৃত পিটিশন মামলার বাদী হয়েছন সাংবাদিক মো. শাহ আলম। তিনি সাতক্ষীরা সদরের পলাশপোল গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে। শাহআলম সাংবাদিকতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষী সহায়তাকারী।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল একজন অসৎ চরিত্রের নিয়মলংঘনকারী, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ছদ্মবেশি, মুখোশধারী, সারকারি টাকা আত্মসাৎকারী, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় ১১৪৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ঘরগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যা বসবাসের আদৌ উপযোগী নয়। বালি, সিমেন্ট ঠিকমতো না দেওয়ায় অনেক ঘর আপনা-আপনি ভেঙে পড়ছে। এহেন খারাপ অবস্থা দেখে রাতারাতি আসামির নির্দেশে কলারোয়া উপজেলার তৈলকুপি পুকুর পাড়ে নির্মিত সাতটি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
এসব প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা খরচসহ মোট ঘর নির্মাণে ১৯ কোটি ৬৩ লাখ ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই বরাদ্দকৃত টাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের বাসস্থান নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক ছিলেন, এস এম মোস্তফা কামাল। তিনি বরাদ্দকৃত টাকার অনুমান ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বাদী তার লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, সদর উপজেলার হাড়দ্দহা আশ্রয়ন প্রকল্পের বিতরণকৃত ৪৪ টি ঘরগুলোর বারান্দার মেঝে, শৌচাগারের প্যান সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই হাড়দ্দহা আশ্রয়ন প্রকল্প হতে অনুমান ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সাবেক জেলা প্রাশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল। তিনি সাতক্ষীরা জেলাকে ‘গ্রীণ সাতক্ষীরা-ক্লিন সাতক্ষীরা’ করার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বাস্তবে কোনো কাজ করেননি। সাতক্ষীরার প্রাণ সায়ের খাল খনন প্রকল্পে ১০ কোটি টাকার বাজেট ছিলো। এখানে যেনোতেনোভাবে কাজ করে অনুমান ৫ কোটি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও আসামি ইটভাটা মালিক সমিতি, মাছ ব্যাবসায়ী সমিতি, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন সমিতি থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি জানান, সাবেক জেলা প্রাশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল দুর্নীতি দমন আইনে অপরাধ করেছেন।
মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।