বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সোমবার সন্ধ্যায় দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া সেই আসামিকে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের একাধিকসূত্র জানিয়েছে, ওই আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। এ সুযোগে ওই আসামি গাড়ি খাদে ফেলে পালিয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। তবে পলাতক আসামিকে এখনও ধরা যায়নি।
তিনি আরও জানান, আসামির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা পানিতে পড়ে যাওয়ায় কিছু গলে গেছে, বাকিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেনঃ- ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র আরও জানায়, সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজায় তল্লাশি চৌকিতে একটি গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দেয়ার পর সেটি এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে মাদক ও গাড়িসহ ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর আসামী আলমগীরকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এসময় সে গাড়ি চালিয়েছে। এসপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে নিয়ে সোনারগাঁ থানায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে, তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারতেন না। ফলে তারা আসামিকে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে কৌশলে লাফ দিয়ে তা খাদে ফেলে দিয়ে চালক পালিয়ে যায়। ঘটনার পর এখনো আসামি পলাতক আছে বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান। এতে দুই এসআই নিহত হন ও গুরুতর আহত হন এএসআই।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং শেষে সোনারগাঁ থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী সালেহ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম প্রাইভেটকারযোগে থানায় ফিরছিলেন। পথে সোনারগাঁয়ের দত্তপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।