Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর নিষ্ঠুর হামলায় সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড়

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৩১ এএম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলাকে অমানুবিক ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। হামলার প্রতিবাদে নেট দুনিয়ায় সরব হতে দেখা যায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও।

শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচীতে হামলার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের তদন্ত করে ভিডিও ফুটেজ দেখে বিচারের আওতায় আনার দাবি উঠেছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, গুলি করার ঘটনার নেপথ্যে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তা বিশেষ করে ভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে দেখা যায় নেটিজেনদের।

ফেসবুকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শাবিপ্রবি বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের শিক্ষার্থীদের তাঁদের হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের কাছে দাবি ও আবদারগুলো কি অযৌক্তিক কিছু ছিল? একজন, দুজন বা এক কক্ষের শিক্ষার্থীদের সেই দাবিগুলো কেন হলের সব শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের বিষয় হয়ে উঠল? কেনই-বা সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করল? কেন উপাচার্য অবরুদ্ধ হলেন এবং তাঁকে উদ্ধারে আসা পুলিশ কেন লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগানের গুলি ছুড়ল? এরকম নানা প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিক মহল।

এমআই অনিক ক্ষোভ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অদক্ষতা আর সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কুকর্মের কারনে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক একটা ময়লার স্তুপে পরিনত হয়ে গেছে।’’

ভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ‘‘অযোগ্যরা ক্ষমতায় থাকলে শিক্ষা কিংবা কর্ম পরিবেশ কেমন হয় তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরন এই ভিসি স্যার।উনার পদত্যাগই একমাত্র সমাধান।আর বিশেষ করে আমার প্রিয় মানুষ জাফর সারের ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় আমি সহ গোটা জাতি।’’

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে শাহেদ এম আজিম লিখেছেন, ‘‘ক্ষমতা আর অর্থবিত্তের লিপ্সায় কাগুজে শিক্ষিতরা বর্বর হয়ে ওঠে সন্তান প্রতিম ছাত্র-ছাত্রীর বুকে বুলেট চালাতে একবার ভাবে না!’’

জোসেফ লিখেছেন, ‘‘ক্ষমতার যথেচ্ছাচার বন্ধ হোক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্র-শিক্ষকরা এখন শিক্ষা ও গবেষণার চেয়ে রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যাস্ত। তাই দক্ষিণ এশিয়াতেও উচ্চশিক্ষার বিচারে আমরা অনেক পিছিয়ে।’’

মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘দলীয় লোকের কি অভাব? প্রশাসনিক শূন্যপদের কি অভাব?? ভিসি, প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, ছাত্ররা তাদের না চাইলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বদলি করে দাবী মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?’’

নাবিল খানের মন্তব্য, ‘‘জনগণের ওপর বল প্রয়োগ করে সরকার টিকে আছে, ছাত্র ছাত্রীর ওপর পুলিশ দিয়ে বল প্রয়োগ করে উপাচার্য টিকে আছে, এটাই এখন স্বাভাবিক।’’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ