Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ মোকাবেলায় ফুুল হাতে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা !

শাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:২৬ পিএম

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে টালমাটাল অবস্থা। প্রথমে হল প্রভোষ্ট ও পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবীতে টানা আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও শিক্ষার্থীরা থামাচ্ছে না আন্দোলন। এদিকে, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল সোয়া ৪টার উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করতে যান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় গেটের সামনে বাঁধা দেয় পুলিশ তাদের। এসময় শিক্ষার্থীরা ফুল দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। শিক্ষার্থীরা জানান, পুলিশ কোনো ধরনের লাঠিচার্জ- এমনকি গুলি করলেও করতে পারে, তাদের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ হবে আন্দোলন। এরই স্মারক হিসেবে পুলিশকে ফুল দিচ্ছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত থেকে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ’ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রীদের কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা, এমন অভিযোগে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে পুরোপুরি। রোববার দিনভর আন্দোলনে শাবি ছিল উত্তাল। এর মধ্যে ওইদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে। তাকে উদ্ধারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষ ঘটে পুলিশের। এসময় রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী, পুলিশ সদস্য ও আহত হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও। রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের সহায়তায় মুক্ত হয়ে শাবি উপাচার্য বসেন জরুরি সিন্ডিকেট সভায়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়- বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেন। তারা রোববার প্রায় সারা রাত বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর আজ সকাল থেকে ফের শুরু করেন আন্দোলন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ