বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই বরিশারেল বাবুগঞ্জে বিধবা মরিয়ম বেগমকে খুন করে তার লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য নদীতে ফেলে দিয়েছিল ধর্ষকরা। মরিয়ম বেগমের খুনের ৪৮ ঘন্টা পর গ্রেফতার হওয়া দুইজন অভিযুক্তের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত এ দুজন হচ্ছে বাবুগঞ্জেরই পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের আতাহার উদ্দিনের ছেলে চা দোকানী সুমন ফকির (৩৫) ও একই এলাকার সেলুন ব্যবসায়ী নরেন চন্দ্র শীলের পুত্র শয়ন চন্দ্র শীল (১৯)। শনিবার রাতে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ এ দুজনকে নিজ নিজ দোকান থেকে গ্রেফতার করে। রোবাবার জেলা পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত দুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মরিয়ম বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মরিয়ম বেগম পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন। পরদিন সকাল ১০টার দিকে বাড়ির অদূরে সন্ধ্যা নদী সংলগ্ন খালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিধবা মরিয়ম বেগম ওইরাতে বাড়িতে একাই ছিলেন।
আসামীদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মরিয়ম বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি গ্রেফতারকৃত দুজন জানতে পেরে গভীর রাতে প্রতিবেশী হবার সূত্র ধরে ঘরে ঢুকে মরিয়মকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় মরিয়ম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দেয়ার কথা বললে। ধর্ষনের বিষয়টি প্রকাশ পাবে এমন আশংকায় তারা দুজনে মরিয়মকে টেনে হিচরে ঘরের বাইরে এনে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। পরে লাশ বসতঘর থেকে ১০০ গজ দূরে নদী সংলগ্ন খালে ফেলে দেয় বলে পুলিশের কাচে স্বীকার করেছে।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত দ্ইু স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকরোক্তি দেয়ার কথা জানিয়েছে। তবে স্বীকারোক্তি না দিলে দুজনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি। ১৬.১.২০২২।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।