বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেড জোন ঘোষিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় করোনা সংক্রমণ এখন উর্ধ্বমুখি। জেলায় হঠাৎ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ শনিবার ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন। যার শতাংশের হার ৩৫ দশমিক ৪৮। এর আগে ১০ শতাংশের উপরে থাকায় এ জেলাকে করোনা সংক্রমণের রেড জোনের তালিকায় ঘোষণা করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এরপরও রাঙামাটির বেশির ভাগ মানুষ বিধিনিষেধ মানছে না।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শতাংশ হিসেবে এ হার ৩৫ দশমিক ৪৮। আক্রান্তদের মধ্যে রাঙামাটি সদরে ৯ জন এবং কাপ্তাই উপজেলায় ২ জন। জেলায় শনিবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন প্রথম ডোজ ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৬ জন, দ্বিতীয় ডোজ ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৯৭ জন এবং বুষ্টার ডোজ নিয়েছেন ৫৬৮ জন।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, রাঙামাটি জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ সাধারণ মানুষের মধ্যে অসচেতনতা। এখানকার মানুষের সচেতনতা কম হওয়াতে এমন পরিস্থিতি বলে মনে করি। এটা শুধু পর্যটকদের আসার কারণে হচ্ছে বলব না। এখানকার অনেক লোক বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে লোকও আসে। তবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট। আমাদের কোভিড ইউনিট প্রস্তুত আছে। সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিকও আছে।
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নির্দেশিত ১১ বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের কড়াকড়ির মধ্যেও তা উপেক্ষা করে চলেছে মানুষ। সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সসহ রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বেশির ভাগ লোকজনকে মাস্ক ছাড়াই ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। হাটবাজার, শপিংমলসহ মহরের বিভিন্ন জায়গাতেও মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে না। এসব স্থানে সামাজিক দূরত্বতা উপেক্ষা করে জড়ো হয়ে ঠাসাঠাসি করে চলাফেরা করছে মানুষজন। সরকারের ১১ বিধিনিষেধ বলবৎ হলেও রাঙামাটিতে বেশির ভাগ লোকজনের মধ্যে সচেতনতা লক্ষণীয় নয়। এসবের ফলে রেড জোন ঘোষিত রাঙামাটি জেলায় জনমনে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
শনিবার রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন অ্যান্ড হলিডে কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতু গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেশির ভাগ মানুষ ঘোরাঘুরি করছেন মাস্ক ছাড়াই। যেন স্বাস্থবিধির বালাই নেই মানুষের। এ বিষয়ে রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজ বিকাশ বড়–য়া বলেন, আমরা মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছি না। কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর অনেকে মাস্ক খুলে ফেলেন। আমাদের জনবল কম, তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কঠিন।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন মাঠে রয়েছে। কেউ তা উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।