Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস এখনো অনিশ্চিত

একদশক পরে পরীক্ষামূলক পরিচালন

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ৯:০২ এএম

অনিশ্চয়তার আবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বরিশালের সাথে চট্টগ্রামের উপক’লীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র কনজার্ভেন্সী ও ড্রেজিং বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ২ ডিসেম্বর বিআইডব্লিউটিসি এ রুট পরিক্ষামুলকভাবে একটি নৌযান পরিচালন করলেও বানিজ্যিক পরিচালনের বিষয়ে আর তেমন কোন অগ্রগতি নেই। অথচ এ রুটের জন্য গত দু দশকে চীন থেকে ‘এমভি বার আউলীয়া’ নামের একটি নতুন নৌযান সংগ্রহ ছাড়াও ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি পুরনো নৌযান পূণর্বাশন করা হয়। উপরন্তু আরো প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যায়ে গত মার্চে ‘এমভি তাজউদ্দিন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামে দুটি নুতন নৌযান সংগ্রহে সরকার অর্থ প্রদান করে। এমনকি বিশ^ ব্যাংকের সুপারিশে দেশের উপক’লভাগে নিরাপদ যাত্রী পরিবহনকে সরকার ‘গন দায়বদ্ধ সেবাখাত’ হিসেবে ঘোষনা করে এজন্য বিআইডব্লিউটিসি’কে প্রতি বছর নগদ ভতর্’কিও প্রদান করছে।
কিন্ত ২০০২ সালের নতুন নৌযান ছাড়াও ২০০৯-১০ অর্থ বছরে পুরনো দুটি নৌযান পূণর্বাশন করা হলেও ‘সচল নৌযানের অভাবে’ই ২০১১ সালে মধ্যভাগ থেকে বরিশালÑচট্টগ্রাম রুটে উপক’লীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি বন্ধ রয়েছে। অথচ বরিশালÑচট্টগ্রাম রুটের কথা বলেই সংস্থাটি ২০০২ সালে চীন থেকে ‘এমভি বার অঅউলীয়া’ সংগ্রহ ছাড়াও ‘এমভি আবদুল মতিন’ ও ‘এমভি আলাউদ্দিন আহমদ’ নামের দুটি নৌযান পূর্বাশনে সরকারী অর্থ সংগ্রহ করে। এমনকি গত এপ্রিলে ৩৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ‘এমভি তাজউদ্দিন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামে দুটি নুতন নৌযান সংগ্রহে সরকার যে অর্থ প্রদান করে তাও বরিশালÑচট্টগ্রাম উপক’লীয় রুটে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যেই ।
কিন্তু কবে দেশের দীর্ঘতম এ উপক’লীয় নৌপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। গত ২ ডিসেম্বর এ নৌপথে পরিক্ষামূলক পরিচালনের পরে বিআইডব্লিউটিসি’র চট্টগ্রামের বানিজ্য ও মেরিন বিভাগ থেকে এ নৌপথের দুটি পয়েন্টে নাব্যতা সংকট সহ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরে সদর দপ্তরে প্রতিবেদন দেয়াম হয়। সে প্রেক্ষিতে বিআইডব্লিইটিসি’র তরফ থেকে ন্যে পথে যাত্রী পরিবহনের লক্ষে এ রুটের ‘বামনীর নালা’ ও ‘সেলিম বাজার টেক’ এলাকায় ড্রেজিং করার অনুরোধ জানান হয়েছে।
তবে এ ব্যপারে বিআইডব্লিউটিএ’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের কনজার্বেন্সী ও পাইলট পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান,‘বামনীর চর’ এলাকায় এ ধরনের নৌযান চলাচলের জন্য নাব্যতার কোন সংকট নেই। ‘সেলিম বাজার পয়েন্ট’এ নাব্যতা উন্নয়নে ইতোমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে’ বলে জানিয়ে ‘সেখানে নৌথটি অত্যন্ত স্পর্ষকাতর হওয়ায় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ড্রেজিং করতে কিছুটা সময় লাগছে’ বলে জানান তিনি। ‘তবে এরপরও আগামী একমাসের মধ্যে ড্রেজিং সম্পন্ন করার লক্ষে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে’ বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক-বানিজ্য আশিকুজ্জামানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ‘বিআইডব্লিউটিএ নৌপথের ক্লিয়ারেন্স দিলে আমরা সার্ভিসটি চালুর উদোগ নেব। তবে যাত্রীবাহী সার্ভিস লাভজনক না হওয়ায় সব অভ্যন্তরীন ও উপক’লীয় রুটে নৌযান ইজারার মাধ্যমে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা’র কথাও জনান তিনি। কিন্তু নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বা ইজারার মধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বরিশালÑচট্টগ্রাম উপক’লীয় নৌপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে সে ব্যপারে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ