Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গাছে বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন, আটক ৬

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:২১ পিএম

রংপুরের পীরগাছায় মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম।

যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- পীরগাছার পারুল ইউনিয়নের আনন্দী ধনিরাম গ্রামের মৃত গফফার মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫), শামসুল হকের স্ত্রী রুপালি বেগম ওরফে রূপবান (৩৫), নূর ইসলামের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৮), নূর হোসেনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (২৬), রুবেল মিয়ার স্ত্রী রুমানা বেগম (২৫) এবং মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী দুলালী বেগম (৩০)।

সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামে মা ও মেয়েকে গাছে বেধেঁ নির‌্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী শাজাহান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গাফফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার সকালে জিয়ারু ও তার লোকজন শাজাহানের জমি দখল করে গাছ ও রাস্তা কাটতে শুরু করেন। তাতে বাধা দেন শাজাহান ও তার পরিবারের লোকেরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়ারু ও তার সহযোগীরা গোলাপী বেগম ও রাবেয়া বেগমকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালান। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তারা এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন।

নির্যাতনের শিকার গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম ওই গ্রামের শাজাহান মিয়ার স্ত্রী-কন্যা। ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার দুপুরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ বিষয়ে শাজাহান মিয়া জানান, প্রতিবেশী জিয়ারু ও তার লোকজন জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রী-সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। আমি ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের লোকজন ঘটনার দায় স্বীকার করে বলেন, গাছে বেঁধে নির্যাতন করা আমাদের ভুল হয়েছে। আমরা বসে এটা মীমাংসা করে নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ