বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে অতর্কিত হামলা করেছে শাবি ছাত্রলীগ। এতে অন্তত ১০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দাবি পূরণে বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ মুহুর্তে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীরের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রীদের সাথে ধস্তাধস্তি ও আন্দোলনের সমর্থনে থাকা ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝুটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান, আশরাফ কামাল আরিফ, সজিবুর রহমান, ঋষাণ তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বি এ হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে গেলে তারা বাধা দেয়। তখন এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে একটু হাতাহাতি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবীর বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দিতে সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী যান। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স যেতে বাধা দিলে একটু হাতাহাতি হয়।
আন্দোলনরত আবাসিক ছাত্রী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকে পথ করে দিই। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের পেছন পেছন এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলরতদের মাঝে ঢুকে পড়ে। তাদের কয়েকজন এক ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। সে পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়।তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা ১০-১২ জন ছাত্রকে তারা মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও আন্দোলনরত ছাত্রীরা তাদের দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত চলমান আন্দোলন থেকে পিছপা হবেন না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।