বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)’ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি। লিখিত ওই নির্দেশনা পাওয়ার পরদিনই অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষে কাউন্সিলর ও প্রকৌশলীদের বিশাল বহর নিয়ে খুলনা ছুটে গেছেন মেয়র আরিফ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি পাওয়ার একদিনের মধ্যেই কিভাবে ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের’ সফরের সবকিছু নির্ধারিত হয়ে গেল, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সচেতন মহেেল প্রশ্ন। মূলত খুলনার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়ানোর লক্ষ্যে এই সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে বিতর্ক এড়াতে এটাকে ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের’ সফরে বদলে দেয়া হয়েছে, সেই সাথে বিনোদনের খরচ তুলে দেয়া হয়েছে সিসিকের তহবিলে।
সূত্রে জানা গেছে, গেল বছর সিলেট সিটি করপোরেশন আয়তন বেড়ে ২৬ বর্গকিলোমিটারের বদলে এখন দাড়িয়েছে প্রায় ৬০ বর্গকিলোমিটারে। বিগত ২৬ বর্গকিলোমিটারের সিসিকের পানির চাহিদা ছিল প্রতিদিন প্রায় আট কোটি লিটার। কিন্তু সিসিক সর্বোচ্চ ছয় কোটি লিটারের মতো সরবরাহ করতে পারে। চাহিদার তুলনায় পানির অপ্রতুলতায় নগরীতে পানির সংকট নিত্যসঙ্গি। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সিলেটে ওয়াসা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে চিঠি পাঠিয়েছেন ড. মোমেন। চিঠিতে সিলেটের পানি সরবরাহ সমস্যা নিরসন, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের কথা উল্লেখ ওয়াসা গঠনের প্রয়োজনীয় তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চিঠিতেই উল্লেখ আছে, ওয়াসা গঠনের বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিসিক সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তার অনুলিপি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকেও দিয়েছেন। এই চিঠি পাওয়ার পরদিনই তড়িগড়ি করে ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের’ জন্য বিশাল বহর নিয়ে খুলনায় গেছেন মেয়র আরিফ। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বিমানযোগে ঢাকায় যান তাঁরা, সেখান থেকে বিমানযোগে যান খুলনায়। আগামী রবিবার পর্যন্ত খুলনায় অবস্থান করবেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই বহরে মেয়র, কাউন্সিলর ও প্রকৌশলীসহ ২২ জন ছাড়াও পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন অনেকের। অথচ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে ২২ জনের কথাই উল্লেখ ছিল। কিন্তু সরকারি খরচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৪৪ জনের বহর। সিসিক সংশ্লিষ্টরা জানান, এই সফরে খুলনা সিটি করপোরেশন কর্তৃক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিষ্কাশনের সমন্বিত প্রক্রিয়া, কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় কার্যক্রম ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন পদ্ধতি, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম প্ল্যান্টের কার্যক্রম এবং খুলনা ওয়াসা পানি সরবরাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তাঁরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।